সাংবাদিকদের ওপর হামলা হলে ছাড় দেওয়া হবে না : ডিইউজে
সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতন চালানো হলে ছাড় দেওয়া হবে না, বলেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিইউজে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) একথা জানায়। একইসঙ্গে ইউনিয়ন নেতারা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে মিশে দেশজুড়ে বিএনপি-জামায়াতের পরিকল্পিত নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানান।
সাংবাদিকনেতারা বলেছেন, বারবার রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষার্থীদের বিপৎগামী করার মাধ্যমে বিএনপি জামায়াত যে নগ্ন খেলা শুরু করেছে তা যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। আন্দোলনের নামে সাংবাদিকদের ওপর হামলা আর জনগণের সম্পদ ভাঙচুর করে যারা ফায়দা লুটার ঘৃণ্য খেলায় মেতেছেন, তাদের অচিরেই আইনের আওতায় আনতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডিইউজে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেখানে নেতারা বলেন, যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা নির্যাতন চালাবে, তাদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী। বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন।
আরও বক্তব্য দেন ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফরাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশিদ, ডিইউজের বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাবেক সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান মিঞা, কোষাধ্যক্ষ সোহেলী চৌধুরী, আইন সম্পাদক আসাদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, নারীবিষয়ক সম্পাদক সুমি খান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, নির্বাহী পরিষদ সদস্য নাসরিন গীতি, সাজেদা হক, সুনীতি কুমার বিশ্বাস, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল প্রমুখ।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব। পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়, যা শেষ হয় পল্টন মোড় ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে।