বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জুয়েল
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সংগীতশিল্পী ও নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) মাগরিবের নামাজের পর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন দাফন করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পীর পরিবারের সদস্যসহ সংগীত অঙ্গনের অনেকে।
এর আগে আসর নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে হয় জুয়েলের নামাজে জানাজা। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নেওয়া হয় বনানী কবরস্থানে। সেখানে মাগরিবের নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় এই শিল্পীকে।
২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত হয়। মাঝে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই শিল্পী ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন দেশ ও বিদেশের চিকিৎসা সহযোগিতায়। অবশেষে চলতি বছরের ২৩ জুলাই রাত থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মাঝে ২৫ জুলাই খানিক উন্নতির খবর পাওয়া গেলেও ৩০ জুলাই সকালে ক্যানসারের কাছে হার মানলেন এই শিল্পী।
৯০-এর দশকে ব্যান্ড সংগীত যখন তুমুল আলোচনায়, ঠিক তখনি ব্যতিক্রমী একটি কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। আইয়ুব বাচ্চুর সুরে প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশ হয় ১৯৯৩ সালে। প্রথম অ্যালবামেই বাজিমাত করেন জুয়েল।
এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’ (১৯৯৪), ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। এছাড়াও বেশ কিছু সিঙ্গেল ও মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন জুয়েল।