ত্রাণ দিতে আজও টিএসসিতে মানুষের ঢল
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য আজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচিতে মানুষের ঢল নেমেছে। শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগে অংশীদার হতে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী নগদ অর্থ কিংবা ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দিতে আসেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে দ্বিতীয় দিনের মত আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে টিএসসির ফটকে স্থাপিত বুথে ত্রাণ সংগ্রহ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। কেউ ব্যক্তিগত গাড়িতে, কেউ ভ্যানে করে, কেউ ছোট ট্রাকে করে ত্রাণ নিয়ে আসতে থাকেন। বুথে থাকা শিক্ষার্থীরা দাতার নাম ও পণ্যের বিবরণ লিখে রাখেন খাতায়। সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ সংগ্রহের কাজ করতে শিক্ষার্থীরাও সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান।
ত্রাণ নিয়ে আসা বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমে টিএসসি এলাকা লোকারণ্য। টিএসসির ফটকে বুথ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। কেউ বোতলজাত পানি ও খাওয়ার স্যালাইন, কেউ মুড়ি-চিড়া, কেউ বিস্কুট, আবার কেউ খেজুরসহ বিভিন্ন শুকনা খাবার নিয়ে আসেন।
স্বেচ্ছাসেবক ছাত্র-ছাত্রীরা সেগুলো হাতে বা কাঁধে করে টিএসসির অভ্যন্তরীণ ক্রীড়াকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়ায় নিয়ে জমা করছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই উদ্যোগে অনেকে নগদ অর্থ দিয়েও শরিক হচ্ছেন। বুথে বসা শিক্ষার্থীরা খাতায় অনুদানের অঙ্ক লিখে টাকা জমা রাখেন। আজ কত টাকা জমা পড়েছে তার এখনো হিসাব হয়নি জানিয়েছেন নগদ টাকা তোলা বুকের দায়িত্ব প্রপ্তরা।
নগদ অর্থের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের ত্রাণসামগ্রী জমা পড়েছে। সেগুলো জমা করায় টিএসসির ক্রীড়াকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া বিশাল ত্রাণভান্ডারে পরিণত হয়েছে। ত্রাণ প্যাকেটজাত করার কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা ত্রাণ নির্ধারিত বস্তায় ভর্তি করছেন।
সগদ টাকা, খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি সাধারণ মানুষরা নিয়ে আসছেন কাপড়ও। টিএসসি ক্যফেটেরিয়া মাঠে আসা কাপড়গুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করছেন শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ মানুষের দেওয়া এসব ত্রাণ সহযোগিতা অতিদ্রুত বানভাসিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।