চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলন, গাড়ি ভাঙচুর ও ছাত্রদের আহত করার ঘটনায় ৩৪০ আনসারকে আটক করা হয়েছে। রাজধানীর পল্টন, শাহবাগ ও রমনা থানায় আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, সেনা সদস্যদের আহত করা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) গতকাল রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর পর তোপের মুখে সচিবালয় ছেড়ে পালিয়ে যান অধিকাংশ আনসার সদস্য। তবে ৩৪০ জন রয়েছেন পুলিশ হেফাজতে।

এ বিষয়ে রমনা বিভাগের এডিসি হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার বাহিনীর সংঘর্ষ ও সেনা সদস্যদের আহত করা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত ৩৪০ আনসারকে আটক করা হয়েছে।’

২৫ আগস্ট রাত ৯টা পর্যন্ত সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে সাধারণ আনসার সদস্যরা। পরে সমন্বয়কারীদের আহ্বানে সচিবালয়ে তাদের উদ্ধারে আসে শিক্ষার্থীরা। এ সময় সচিবালয়ের দুই ও তিন নম্বর গেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর আনসার সদস্যরা হামলা করে। 

পরে সচিবালয় এলাকার চারদিক থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ঘিরে ফেলে। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীরা এ সময় অধিকাংশ আনসার সদস্যকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। তবে পালানোর সময় বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে হামলা ও মারধর শিকার হন আনসার সদস্যরা। পরে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় তিন শতাধিক আনসার সদস্যকে। তাদের শাহবাগ, রমনা, পল্টন ও মতিঝিলসহ আশপাশের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাত আড়াইটা পর্যন্ত সচিবালয় গেট থেকে আটক আনসার সদস্যদের পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে বিভিন্ন থানায় নেওয়া হয়।