চাঁদপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ
প্রবল বর্ষণ ও উজানের ঢলে বন্যায় চাঁদপুরে ছয় উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বানের পানিতে নতুন করে চাঁদপুর সদর ও কচুয়া উপজেলার বেশকিছু এলাকায় নতুন করে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এখন পর্যন্ত জেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এর মধ্যে শুধু শাহরাস্তি উপজেলায় গত তিন দিনে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে সহস্রাধিক পরিবার।
এদিকে অতিবৃষ্টিতে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার পানচাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরো উপজেলার সবক’টি পানের বরজ এখনও পানিতে নিমজ্জিত। ৯০ হেক্টর জমির পান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কৃষকেরা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্ল্যাহর জানান, চাঁদপুরে আট উপজেলার ৬৪টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সব প্রস্তুতি রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ হাজার ৭২৬ জন মানুষ ঠাঁই নিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির জন্য ৪৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। বানভাসিদের জন্য ৬৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। বিশেষ করে জেলায় বন্যার্ত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৪ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ৪ লাখ ৭০ হাজার নগদ অর্থ মজুত আছে।