নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে : জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এখন নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। গণতন্ত্রের প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকার। কিন্তু এই সরকার মানুষের সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, পরিস্থিতি এমন স্থানে আনা হয়েছে যে জনগণ যদি কাউকে নির্বাচিত করেও তাঁকে বরখাস্ত করা হবে, না হলে জেলখানায় পাঠানো হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আর সিলেকশনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এটা করার একমাত্র লক্ষ্য উন্নয়নের নামে করা লুটপাট তলা পর্যন্ত বিস্তৃত করা।
আজ শনিবার প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। পরে তিনি গণসংহতি আন্দোলনের যশোর জেলা শাখার সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, দেশে আজ যেকোনো মানুষ যেকোনো সময় গুম হয়ে যাচ্ছেন। কয়েকদিন পর তাঁকে দেশে বা বিদেশের কোনো রাস্তায় অসংলগ্ন অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে কিংবা তার লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে।
তনু হত্যা প্রসঙ্গ তুলে জোনায়েদ সাকি বলেন, হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুধু মিছিলের আয়োজন করায় তনুর ভাইয়ের বন্ধুকে অপহরণ করা হয়েছিল। এ ধরনের অন্যায় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাময়িক কিছু সুবিধা অর্জন সম্ভব হলেও পরিণতিতে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।
১৯৮৬, ১৯৮৮ বা ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, সেগুলো যদি অন্যায় নির্বাচন হয় তাহলে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কেন নয়? ভোটারবিহীন নির্বাচন অন্য কেউ করলে তা অবৈধ আর শুধু আওয়ামী লীগ করলে তা বৈধ হয়ে যায় না।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ৭২-পরবর্তী প্রত্যেক সরকারের একটি মাত্র উদ্দেশ্য ছিল, ক্ষমতায় যাওয়া, লুটেপুটে খাওয়া। ক্ষমতা হচ্ছে ধন-সম্পদ বানানোর অস্ত্র। সে কারণে কেউ ক্ষমতায় গেলে তা কুক্ষিগত করতেই সচেষ্ট হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ভারত তার সংকীর্ণ স্বার্থ উদ্ধারে বাংলাদেশকে পদানত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা আমাদের অর্থনীতি, রাজনীতিসহ সর্বত্র অন্যায্য কর্তৃত্ব কায়েম করেছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। ফলে সার্বভৌম মর্যাদাও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এর ফলাফল ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, জনগণের মুক্তির জন্য গণতান্ত্রিক কাঠামো, গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন এবং জনগণের কথা বলার মতো অবস্থা তৈরি করতে গণসংহতি আন্দোলন তাদের কর্মসূচি পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের যশোর জেলা সমন্বয়কারী চিন্ময় গোস্বামী পাপ্পু। এ সময় সংগঠনের জেলা শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।