মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন।
আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হয়। বেলা সাড়ে ১২টায় হাইকমিশনারের পতাকাবাহী গাড়ি কার্যালয়ে প্রবেশ করে। দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব হাইকমিশনারকে মধ্যহ্নভোজের আপ্যায়ন করেন।
সাক্ষাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলের আন্তর্জাতিক সস্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ক্লিনটন পোবকে এবং প্রথম সচিব লারা অ্যাডামস।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সাথে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি শেখ হাসিনার সরকার চলে যাওয়ার পরে আমরা কী ভাবছি এবং অন্তর্বর্তী সরকার কি রকম করছে; তাদের একমাস কেমন গেলো, আগামী দিনে আমাদের কী প্রত্যাশা, বাংলাদেশের কী প্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই অঞ্চলের জিও পলিটিক্স এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়েয় আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে তা নিয়ে তারা কী করতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য কত সময় লাগতে পারে তারা (অস্ট্রেলিয়া) জানতে চেয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কী কী পরিবর্তন দরকার; সেগুলো কীভাবে এগুচ্ছে সে বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছে।
আমীর খসরু বলেন, মূলত সার্বিক আলোচনার পরে তাদের ধারণা যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে আগামীতে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।
নির্বাচনের সময়ের বিষয়টি খোলাসা করে জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, আমরা যৌক্তিক সময়ের কথা বলেই যাচ্ছি। সময়ের যৌক্তিকতা এখানে যারা স্টেকহোল্ডার আছে তারা বিবেচনা করবে। অ্যাকচুয়েলি, আমরা একটা টাইম ফ্রেম বলছি না, একটা সময় দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছি না।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, আমরা চাচ্ছি সরকার সফলভাবে তাদের কাজগুলো করে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেমন নির্বাচন কমিশন চলে গেছে, নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। এর মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজটা শুরু হতে হবে। আমি নিশ্চিত সেই কাজগুলো তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) খুব দ্রুত করবে। কারণ একদিকে ফায়ার ফাইটিং করতে হবে এবং অন্যদিকে আমাদের দেশে যে প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যাগুলো হয়ে গেছে সেগুলো সমাধান করে নির্বাচনি কার্যক্রমের দিকে তাদেরকে যেতে হবে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, সকলের একই প্রশ্ন এই কাজগুলো কত তাড়াতাড়ি হবে, কতদিন লাগতে পারে এবং কবে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে সহায়তা করছি।