পিই রেশিও হিসেবে নিরাপদ বিনিয়োগ ব্যাংকে, পরে জ্বালানি
বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ডাবল ডিজিট বা দুই অঙ্কে রয়েছে। ডাবল ডিজিটে হলেও পিই রেশিও হিসেবে ডিএসইতে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজারের বিশ্লেষকরা।
এদিকে পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানির পিই রেশিও যদি সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে, তাহলে সেখানে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া পিই রেশিও ডিজিট যদি ১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত অবস্থান করে, তবে সেখানেও বিনিয়োগ নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সেই হিসেবে, ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। এসব বিবেচনায় গত বৃহস্পতিবারের ডিএসইর পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট। সেই হিসেবে ডিএসইতে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে আছে। তেমনি বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ খাত নিরাপদে রয়েছে।
অনুসন্ধান মতে, ডিএসইতে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এই খাতটির পর বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি শক্তি। আলোচিত এই দুই খাতের পিই রেশিও সিঙ্গেল ডিজিট অবস্থান করছে। সেই হিসেবে খাত দুটি বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। অপরদিকে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সিরামিক খাতে। এই খাতটির পর বিনিয়োগ ঝুঁকিতে অবস্থানে রয়েছে পেপার প্রিন্টিং ও মিউচুয়াল ফান্ড।
গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ব্যাংক খাতটিতে পিই রেশিও অবস্থান করে ছয় দশমিক ২৭ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে ব্যাংক খাতের পরেই বিনিয়োগ নিরাপদে অবস্থান রয়েছে জ্বালানি শক্তি ও প্রকৌশল খাত। গত সপ্তাহে জ্বালানি শক্তি খাতের পিই রেশিও আট দশমিক শূন্য সাত পয়েন্টে এবং প্রকৌশল খাতে ১১ দশমিক ৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। অপরদিক গত সপ্তাহে সিরামিক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছিল ৯২ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সিরামিক খাত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে অবস্থান করেছে।
বর্তমানে খাতভিত্তিক হিসেবে পিই রেশিও ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১১ দশমিক ৬২ পয়েন্ট, ওষুধ রসায়ন খাতে ১২ দশমিক শূন্য চার পয়েন্টে, টেলিকম খাতে ১২ দশমিক ১৯ পয়েন্ট, বিমা খাতে ১২ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ১৩ দশমিক শূন্য ছয় পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১৪ দশমিক শূন্য সাত পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১৪ দশমিক ১৯ পয়েন্টে, নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতে ১৪ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে, পাট খাতে ১৫ দশমিক শূন্য এক পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৭ দশমিক ৬০ পয়েন্টে, চামড়া খাতে ১৬ দশমিক ১৫ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ২৭ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে এবং পেপার প্রিন্টিং খাতে ২৯ দশমিক ২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।