সুন্দরবনের জন্য মন্ত্রণালয় দাবি
সুন্দরবন আজ অরক্ষিত। আশপাশের খালগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষগুলো আরো নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। বাড়ছে একের পর এক নাশকতা। সুন্দরবনকে নিয়ে চলছে নানা প্রকার চক্রান্ত। এগুলো প্রতিহত করতে হবে।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জন-উদ্যোগ, খুলনার উদ্যোগে নগরীর কনসেন্স মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জন-উদ্যোগ, খুলনার সদস্য-সচিব মহেন্দ্র নাথ সেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জন-উদ্যোগ, খুলনার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা, মাসাসের নির্বাহী পরিচালক শামীমা সুলতানা শীলু, কনসেন্সের নির্বাহী পরিচালক সেলিম বুলবুল, খুলনা পোলট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব সোহরাব হোসেন, সেফের দীপক দে, নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট তছলিমা খাতুন ছন্দা, ব্লাস্টের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট অশোক কুমার সাহা, নারীনেত্রী সিলভী হারুণ, অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান, নাগরিক অধিকারের সাইদুর রহমান পিন্টু, খুলনা আর্ট স্কুলের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায়, কবি রুহুল আমিন সিদ্দিকী, সিনথিয়া রেজা অন্যন্যা প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় করতে হবে। সুন্দরবনকে রক্ষা করতে বন বিভাগকে আধুনিকভাবে সাজাতে হবে। বন আইনকে আরো কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে, যাতে করে কোনোভাবেই যেন অপরাধীরা পার না পায়।
বক্তারা বলেন, ১৪ বছরে ২২ বার অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। নাশকতার নামে কোনো চক্র ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে কি না, তাও খতিয়ে দেখতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, জনগণের আস্থা আনতে হলে বন বিভাগকে বাইরে রেখে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। সভায় সুন্দরবনকে রক্ষার জন্য দেশপ্রেমিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।