ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন মনি কিশোর, দাফন নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোর মরদেহ রামপুরার একটি ভাড়াবাসা থেকে গতকাল রাতে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর একদিন পার হতে চললেও এখনো মরদেহের শেষ কার্যক্রম সমাপ্ত নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রথমে জনকল্যাণ সংস্থা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে শিল্পীর দাফনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এখন একাধিক সংগীত সংগঠন সেই দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেকারণে মনি কিশোরের একমাত্র মেয়ে নিন্তির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করা হচ্ছে। নিন্তি দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাঁর সঙ্গে কথা বলে আজই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
মনি কিশোর মারা যাওয়ার পর মরদেহ কী করতে হবে, তা বলে গিয়েছিলেন একমাত্র মেয়ে নিন্তিকে। মনি কিশোরের বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা অশোক কুমার মণ্ডল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নব্বই দশকের শুরুর দিকে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন মনি কিশোর। তবে দেড় যুগ আগে তাদের দাম্পত্যজীবনের ইতি ঘটেছে। আর বিয়ের সময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন গায়ক। সেই হিসেবে তার মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন গায়কের ভাই অশোক কুমার। এ ব্যাপারে তিনি জানান, জীবিত অবস্থায় দাফনের বিষয়টি একমাত্র মেয়ে নিন্তিকে জানিয়েছিলেন মনি কিশোর।
অশোক কুমার আরও বলেন, নিন্তি জানিয়েছে, তার বাবাকে যেন দাফন করা হয়। ওর বাবা এটা নাকি বলে গিয়েছিল। যেহেতু মেয়েকে বলে গিয়েছে, এ জন্য তার ইচ্ছামতোই দাফনের কাজ করা হবে। এ নিয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাব না আমরা।
নব্বই দশকের শুরুতে ‘চার্মিং বউ’ অ্যালবামের ‘কী ছিলে আমার’ শিরোনামের একটি গান মনি কিশোর দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিত পান। সেই সময় প্রায় সবার মুখে মুখে ছিল এই গানটি। এরপর একে একে ৩০টিরও বেশি একক অ্যালবাম করেন এই গুনি শিল্পী।
পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দেওয়া মনি কিশোরের জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। নড়াইল জেলার লক্ষ্মীপুরে মামাবাড়িতে ১৯৫৮ সালে জন্ম মনি কিশোরের। পুলিশ কর্মকর্তা বাবা অনিল কুমার মণ্ডলের ছেলে অরুণ কুমার মণ্ডল ছিলেন কিশোর কুমারের ভক্ত। ডাকনাম ছিল মনি। কিশোর কুমারের ভক্ত ছিলেন বলে নামের সঙ্গে ‘কিশোর’ জুড়ে নিয়েছিলেন।