লক্ষ্মীপুরে ১১ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ
লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত থাকায় ১১ চেয়ারম্যানের স্থলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। এরমধ্যে সদর উপজেলায় সাতটি ও কমলনগর উপজেলায় চারটি ইউপিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
চিঠিতে বলা হয় অপসারণ হওয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় জনসেবাসহ সাধারণ কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে সচল এবং জনসেবাসহ সাধারণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সদরের সাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা হলেন চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারী, বাঙ্গাখাঁর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভুঁইয়া, লাহারকান্দির চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম, দিঘলীর চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জাবেদ, চরশাহীর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চররমনী মোহনের আবু ইউছুফ ছৈয়াল ও মান্দারীর সোহরাব হোসেন রুবেল পাটওয়ারী। তাঁরা গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে চার শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
ইউনিয়নগুলোতে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হলেন মান্দারী ও চররুহিতা ইউনিয়নে সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সালেহ উদ্দিন, বাঙ্গাখাঁতে সদর উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. নুরনবী, চরশাহীতে সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, দিঘলীতে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুবুল আলম চৌধুরী, লাহারকান্দিতে সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও চররমনী মোহনে সদর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক পলাশ চক্রবর্তী।
এদিকে কমলনগরে চার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা হলেন হাজিরহাট ইউপির চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, পাটারীর হাটের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন রাজু, সাহেবেরহাটের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের ও চরমার্টিনের ইউছুফ আলী মিয়া। এসব ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হলেন হাজিরহাট ইউনিয়নে কমলনগর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোরশেদ আলম, পাটারিরহাটে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুর্য সাহা, সাহেবেরহাটে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও চরমার্টিনে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মোহসিন।
সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অভি দাশ ও কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপসারিত চেয়ারম্যানরা গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদেও অনুপস্থিত।