প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ধাপের শিক্ষক নিয়োগ স্থগিতই থাকছে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র প্রদানসহ এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই নির্দেশের ফলে ছয় হাজার ৫৩১ জন আপাতত নিয়োগ পাচ্ছেন না। তবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা হাইকোর্টের রুল আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চকে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে করা আবেদনের (লিভ টু আপিল) শুনানি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে লিভ টু আপিলকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র দেওয়াসহ এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। যা আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। শুনানি নিয়ে আদালত লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ওই আদেশ দেন। এর ফলে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আপাতত বহাল থাকছে। অর্থাৎ এই সময়ে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৪ জুন ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ১১ নভেম্বরের এ-সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। তবে ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩১ প্রার্থী গত নভেম্বরে রিটটি করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ নভেম্বর রুল দেন। পাশাপাশি গত ৩১ অক্টোবর ও গত ১১ নভেম্বরের সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত করেন। হাইকোর্টের আদেশের পর নিয়োগপত্র ইস্যু হয়নি।