বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে যা জানাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। ভারতীয় উগ্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা সেখানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করে। এ ঘটনার পর কূটনৈতিকভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে ঢাকা। এছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার কারণে দুদেশের সম্পর্কে তৈরি হয় টানাপোড়েন। শুধু তাই নয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়েও গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আলোচনা হয় প্রসঙ্গটি নিয়ে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন। তাছাড়া উভয় দেশই ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে ভারতের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহারের বিষয়ে মার্কিন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা চাই সব পক্ষ নিজেদের মধ্যকার মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করুক।’
এই প্রশ্নের পাশাপাশি ম্যাথিউ মিলারের কাছে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তার দক্ষিণ এশিয়া সফরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে না যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। জবাবে এই দুই দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন হয়নি জানিয়ে মিলার বলেন, ঢাকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় মার্কিন প্রশাসন।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এছাড়া পাকিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। আর এটি মার্কিন প্রশাসনের জন্য অগ্রাধিকারের বিষয়।