মুশফিকের মোহামেডানের সহজ জয়
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম তিন ম্যাচেই দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। খেলেছিলেন একটি শতক ও দুটি অর্ধশতকের ইনিংস। আজ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে অবশ্য ব্যাট হাতে মাঠেই নামতে হয়নি মোহামেডানের অধিনায়ককে। ১৪২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩১.৫ ওভার ব্যাটিং করেই সাত উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন নাঈম ইসলাম জুনিয়র। ১০ ওভার বল করে ৩৮ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন মোহামেডানের এই বাঁহাতি স্পিনার।
গাজী গ্রুপের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে বল হাতেই জয়ের কাজটা প্রায় সেরে ফেলেছিলেন মোহামেডানের বোলাররা। ৩৭.১ ওভারের মধ্যেই গাজী গ্রুপ গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৪১ রানে। অল্প পুঁজি নিয়ে বল করতে নেমে নয়জন বোলার ব্যবহার করেছিলেন গাজী গ্রুপের অধিনায়ক অলোক কাপালি। বলাই বাহুল্য, তাতে সাফল্য মেলেনি। ওপেনার সৈকত আলী ও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার উপুল থারাঙ্গার ভালো ব্যাটিংয়ে ভর করে সাত উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান।
দ্বিতীয় ওভারে এজাজ আহমেদের উইকেট হারাতে হলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিলেন সৈকত ও থারাঙ্গা। ১৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে সৈকত খেলেছেন ৪২ রানের ইনিংস। ২৪তম ওভারে থারাঙ্গা আউট হয়েছেন ৪৭ রান করে। বাকি কাজটুকু নির্বিঘ্নেই সেরে ফেলেছেন নাঈম ইসলাম (১৮) ও আরিফুল হক (২৫)।
ম্যাচসেরার পুরস্কার নাঈম ইসলাম জুনিয়রের হাতে উঠলেও দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন মোহামেডানের আরেক বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। ৬.১ ওভার বল করে ২৬ রানের বিনিময়ে এনামুল জুনিয়রও নিয়েছিলেন চারটি উইকেট। মূলত এই দুই জুনিয়রের দারুণ বোলিংয়েই বিপাকে পড়ে গিয়েছিল গাজী গ্রুপ।
আজকের এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে মোহামেডান। চার ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। সমানসংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংক। চার ম্যাচের চারটিতেই জয় দিয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব।