২০ বছর পর সাকিব-তামিমকে ছাড়া বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ
তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে থামতে হতো। কালের নিয়মে একদিন অবসরে যেতেন দুজন। দেশের ক্রিকেটে তাদের ছাড়াই পথচলা শুরু হতো। সেটি হয়েছেও বটে। তবে, প্রক্রিয়াটা ভিন্ন। বিতর্ক আর সমালোচনাকে সঙ্গী করে জাতীয় দলের বাইরে দুজন। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় দুই তারকাকে ছাড়া এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবে বাংলাদেশ।
এই দুজনকে ছাড়া আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছিল ২০০৪ সালে। তারপর দুই দশক পার হয়েছে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তামিম না থাকলেও ছিলেন সাকিব। এবার যে তিনিও নেই। তাতে ২০ বছর পর দুজনকে ছাড়াই বড় আসরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ঝুঁকির পাশাপাশি এটি অলিখিত এক বাজি।
তামিম থাকবেন না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে, তা আন্দাজ করা গিয়েছিল আগেই। গত দেড় বছরে তামিমের আচরণে বোঝা গেছে অবসর ভাঙলেও জাতীয় দলে ফিরবেন না তিনি। গত ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আরেকবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন দেশসেরা ওপেনার।
সাকিবের ব্যাপার একটু আলাদা। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। দুই দফা পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেননি তিনি। শুধু ব্যাটার হিসেবে তাকে খেলাতে চাননি নির্বাচকরা। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে তাই রাখা হয়নি স্কোয়াডে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাই বাংলাদেশ যাবে দেশের ক্রিকেটের দুই মহাতারকাকে ছাড়া। নতুন এক যাত্রায় বাড়তি চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে সবাইকে।