ক্রিকেটের ‘উজ্জ্বল নক্ষত্র’ তামিমকে মিস করছেন প্রধান নির্বাচক
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে তামিম ইকবালের অধ্যায় এখন অতীত। বিসিবি ও নির্বাচকদের বারবার অনুরোধের পরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন তামিম। জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের জার্সিতে আর ফিরবেন না বাঁহাতি এ ওপেনার। তাই তামিমকে ছাড়াই আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে।
গত ১০ জানুয়ারি রাতে লম্বা এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না ফেরার বার্তা দিয়ে ভক্তদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন তামিম।বাঁহাতি ওপেনারকে ছাড়া আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। দল ঘোষণার পর তামিমকে নিয়েও আফসোস শোনা গেল তার মুখে।
গাজী আশরাফ বলেন, ‘তামিম ইকবালের মতো একজন খেলোয়াড়কে যদি বড় টুর্নামেন্টে আমরা পেতাম, তাহলে দল অনেক উপকৃত হতো। কোনো সন্দেহ নেই। মাঠে তার উপস্থিতি... তার ব্যাট কথা বলছে, তিনি ভালো ছন্দে ছিলেন। আমরা তাকে মিস করলাম। আমাদের আশা ছিল, তিনি হয়তো এই টুর্নামেন্ট খেলবেন।’
তামিমের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘এটা (অবসর) তার একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমরা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাই। বাংলাদেশ ক্রিকেটের তিনি একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাকে নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ক্রিকেট মিস করবে। তিনি দলে থাকলে আমার মনে হয় দল অনেক উপকৃত হতো। বিশেষ করে টপ-অর্ডার অনেক উপকৃত হতো।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে তামিম সত্যিই উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে খেলেছেন সেভাবেই। ২০০৭ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক। একই বছরের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি ক্যাপ আর পরের বছর জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রাজকীয় ফরম্যাট টেস্টে অভিষেক। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বিরতিহীন ভাবে খেলে গেছেন ১৭ বছর। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে ৭০ টেস্ট, ২৪৩ ওয়ানডে ও ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তামিম। এ সময়ে করেছেন ১৫ হাজার ২৪৯ আন্তর্জাতিক রান। যার মধ্যে সেঞ্চুরি আছে ২৫টি ও হাফ সেঞ্চুরি ৯৪টি।