বিশেষ বিবেচনায় রমজান, জুন-জুলাইতে কমবে মূল্যস্ফীতি : গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বাজার স্বাভাবিক করতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রমজান মাসকে সামনে রেখে পণ্য আমদানিতে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ সুবিধা। আশা করা হচ্ছে চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে গভর্নর এসব কথা বলেন।
দেশের ডলারের বাজার প্রসঙ্গে ইতিবাচক বার্তা দিয়ে গভর্নর বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাজারে ডলারের তেমন কোনো সংকট নেই এবং ডলারের মূল্য বেশ স্থিতিশীল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মূল্য নির্ধারণ করবে না, এটা নির্ধারিত হবে ডলারের আমদানি ও চাহিদার ভিত্তিতে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ডলারের মূল্য স্থিতিশীল আছে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ ইতিবাচক, রপ্তানি আয় ঊর্ধ্বমুখী এবং রিজার্ভ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সুফল শিগগিরই দেশের মানুষ ভোগ করতে পারবে বলে জানান আহসান এইচ মনসুর।
এছাড়া দেশের বাইরে ব্যবসায়িক অফিস খোলার বিদ্যমান শর্তাবলি আরও শিথিল করার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে বলে ব্যবসায়ী নেতাদের আশ্বাস দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এ গভর্নর।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ক্রমাগত ব্যয় বাড়াচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রাখার ওপর জোর দেন তিনি।
তাসকীন আহমেদ আরও বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের সুবিধা পেতে প্রায় ৩১ রকমের ডকুমেন্ট প্রদান করতে হয়। এ কারণে অনেক সময় ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন তারা। বিষয়টি সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।
এর বাইরে দেশের অর্থনীতিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরণের সময়সীমা ৩ মাস থেকে আরও ৬ মাস বাড়ানোর দাবি জানান ঢাকা চেম্বার সভাপতি।
এর জবাবে গভর্নর বলেন, আসন্ন রমজান মাসে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে আমদানিতে কোনো ধরনের মার্জিন ছাড়াই এলসি (ঋণপত্র) খুলতে ব্যাংকগুলোকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সুদের হার বাজার পর্যালোচনার ভিত্তিতে আরও হ্রাস করা সম্ভব হবে। ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরণের সময়সীমা বর্তমানে ৩ মাস থেকে বাড়ানো যায় কিনা সে ব্যাপারে বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’