নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে প্রস্তুত যেসব জল্লাদ
মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে ১০ জন জল্লাদকে প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে কতজন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে অংশ নেবেন, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই সূত্র জানায়, নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে জল্লাদ রাজু, সাত্তার, আবুল, হজরত, রনি, ইকবাল, মাসুদ, মুক্তার, আবদুল ওয়াহাব ও ওমর আলী শেখকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রথম আটজনকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আনা হয়েছে। শেষ দুজনকে নড়াইল কারাগার থেকে আনা হয়েছে।
কারা সূত্রে আরো জানা যায়, জল্লাদ রাজুর নেতৃত্বেই নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর হতে পারে। এর আগে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করেন জল্লাদ রাজু, শাহজাহান ও জনি। এ ছাড়া জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময়ও সহযোগী ছিলেন রাজু।
কারাবিধি অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে সাধারণত সাতজন জল্লাদ অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে একজন প্রধান থাকেন। বাকিরা সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে নিজামীকে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ে শোনানো হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবীর জানান, রায় পড়ে শোনানোর সময় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রাণভিক্ষার বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসা করা হবে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। এর পর বিকেল ৫টার কিছু পর আপিল বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে দেয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে লাল কাপড়ে মোড়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে রওনা হয়। পরে ৭টা ৫ মিনিটে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবীর রায়ের কপি গ্রহণ করেন।
গত রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মতিউর রহমান নিজামীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।
গত ৫ মে (বৃহস্পতিবার) আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।