অপেক্ষা বাড়ল শাহাদাতের
ঘরোয়া আসরে খেলার অনুমতি পেয়েছেন আরো আগেই। কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরই মানবিক কারণেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পেসার শাহাদাত হোসেনকে এই অনুমতি দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আবাহনী লিমিটেডের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেনও তিনি।
কিন্তু শাহাদাতের অপেক্ষা বাড়িয়ে দিল বৃষ্টি। বিকেএসপিতে বৃষ্টির বাগড়ায় আবাহনী ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ম্যাচের প্রথম ইনিংস খেলা হওয়ার পরই স্থগিত করে লিগ কমিটি। তাই বল হাতে মাঠে নামা হয়নি জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই পেসারের।
লিগ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ম্যাচটি আবার যেদিন মাঠে গড়াবে, তখন হয়তো বল করতে পারবেন শাহাদাত। তাই কিছুটা হলেও তাঁর অপেক্ষা বেড়েছে।
দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন এই পেসার। গত বছরের এই মে মাসেই সর্বশেষ ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছিলেন জাতীয় দলের হয়ে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে অবশ্য মাত্র দুই বল করেই চোটের কারণে ছিটকে পড়েন। পরে সেই টেস্টে আর খেলাই হয়নি তাঁর।
এরপর গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় শুধু জেলেই যেতে হয়নি তাঁকে, সব ধরনের ক্রিকেটেও সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে ঘরোয়া লিগে খেলার অনুমতি দেওয়া হলেও অবশ্য জাতীয় দলের হয়ে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি শাহাদাতকে। আদালতের পুরোপুরি রায় না আসার আগ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।
গত বছর সেপ্টেম্বরে শরীর ও চোখের নিচে আঘাতের চিহ্নসহ ১১ বছর বয়সী গৃহকর্মী হ্যাপিকে রাজধানীর মিরপুরে উদ্ধার করেন সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক। শিশুটির অভিযোগ ছিল, সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় গৃহকর্মী, শাহাদাত ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাকে নির্যাতন করেছেন।
এরপর সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। মামলাটি এখনো বিচারাধীন।