তনুর ময়নাতদন্তে ভুল : তিন চিকিৎসককে নোটিশ
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত গোপনের অভিযোগ এনে ময়নাতদন্তকারী তিন চিকিৎসককে উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তনু হত্যা মামলার বাদী ও তাঁর বাবা ইয়ার হোসেন এই উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন।
তনুর প্রথম ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রদানকারী চিকিৎসক শারমিন সুলতানা, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা ও কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. মহসিন উজ জামান চৌধুরীকে এ উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। আজ বুধবার দুপুরে ডাকযোগে তাঁদের কাছে এই উকিল নোটিশ পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
অধ্যাপক ডা. মো. মহসিন উজ জামান চৌধুরী জানান, এই উকিল নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ডা. কামদা প্রসাদ সাহার দেওয়া প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্টের সঙ্গে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দেওয়া দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্টের গরমিল ধরা পড়েছে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
ইয়ার হোসেনের পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলীর পাঠানো এই উকিল নোটিশে প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি আগামী সাতদিনের মধ্যে এ ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষসহ তিন চিকিৎসক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব দিবেন বলেও মহসিন উজ জামান জানান।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা থেকে কলেজ ছাত্রী তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পর তনু হত্যা মামলার তদন্তভার বর্তমানে সিআইডির কাছে ন্যস্ত।