ইউপি নির্বাচন শহীদি নির্বাচন
সারা দেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে ‘শহীদি নির্বাচন’ বললেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নির্বাহী সদস্য ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ।
এখন পর্যন্ত চারটি দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। আরো দুই দফা নির্বাচন বাকি আছে। সুজন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইউপি নির্বাচন সংক্রান্ত সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১০১ জন, যা অতীতের সব রেকর্ডকে হার মানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুজনের পক্ষ থেকে এ সব তথ্য দেওয়া হয়।
সুজন জানিয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশে এর আগে মোট আটবার ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু নবমবারের মতো সারা দেশে চলমান ইউপি নির্বাচনের সহিংসতা অতীতের সব রেকর্ডকে হার মানিয়েছে। এ পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছে ১০১ জন। অথচ এর আগে ১৯৮৮ সালের নির্বাচনী সহিংসতায় সর্বোচ্চ নিহত হন ৮০ জন।
সুজনের পর্যালোচনা বলছে যেকোনো মূল্যে জয়ী হওয়ার আকাঙ্ক্ষাই নির্বাচনী সহিংসতা বৃদ্ধির বড় কারণ।
সুজনের নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘মানুষ এই একটি সর্বনিম্ন পর্যায়ের নির্বাচনে নিহত হয়েছে। এ ধরনের বেঘোরে মারা গেলে বলা হয় শহীদ। এই যে যারা শহীদ হয়েছেন এর কারণেই আমরা এ নির্বাচনকে শহীদি নির্বাচন বলতে পারি। এ নির্বাচন স্বাভাবিক নির্বাচন নয়। অতীতে যেসব নির্বাচন আমরা গত দেড়শো বছরে দেখেছি, এবারের নির্বাচন হলো শহীদি নির্বাচন।’
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন চরমভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। তারা ছাড়া আর সবাই বলবে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ছিল না। ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যগুলো থেকে উত্তরণের কথা ভাবতে হবে।’
বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনাও অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে জানিয়ে সুজনের পক্ষ থেকে এর দায়ের সিংহভাগই চাপানো হয় নির্বাচন কমিশনের কাঁধে।