আসলাম চৌধুরীকে ৩০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ
রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতার তিনটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে ৩০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগরের তিন হাকিমের আদালতে পৃথক আবেদন করা হয়।
গুলশান থানার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড নিতে মহানগর হাকিম মারুফ হোসেনের আদালতে আবেদন করে পুলিশ। মতিঝিল থানার নাশকতার মামলায় হাকিম গোলাম নবী এবং লালবাগ থানার নাশকতার মামলায় মাজহারুল ইসলামের আদালতে পৃথক আবেদন করে পুলিশ।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আসলাম চৌধুরীর রিমান্ড শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার ও বাকি মামলা দুটির জন্য ৬ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
তিনটি মামলার শুনানির জন্য আজ দিন নির্ধারণ ছিল। আসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া শুনানির দিন পেছানের জন্য আবেদন করেন। আদালতকে আইনজীবী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধরায় রিমান্ড শুনানির বিষয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে, তা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। তাই এই শুনানি পেছানো হোক।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের হাকিম মারুফ হোসেন, গোলাম নবী ও মাজহারুল ইসলাম রিমান্ড শুনানির পেছানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ ছাড়া আজ ঢাকা মহানগর হাকিম সাব্বির ইয়াসিন চৌধুরী রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে আসলাম চৌধুরীকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। সে সময় রিমান্ড বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসলামের আইনজীবীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেতার আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে নতুন করে রিমান্ডে নেওয়া যাবে না, বলে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ১৫ মে বিকেলে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগে ১৪ মে পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এমনকি তাঁকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৯ মে ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয় ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘জেরুজালেম অনলাইন ডটকম’-এ।
এরপর বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমেও মেন্দির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠক-সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।