আইএসের অস্তিত্ব নেই, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক
পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য এ ধরনের টার্গেট কিলিং চালানো হচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি দমনে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এ জন্যই তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। শিগগিরই হত্যাকারীরা শনাক্ত হবে এবং ধরা পড়বে বলে আমরা আশা করছি।’
পুলিশের প্রতিটি বিভাগ, গোয়েন্দা সংস্থা এ ঘটনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করতে এ ধরনের টার্গেট কিলিং চালিয়ে যাচ্ছে। এদের দেশের একটি গোষ্ঠী মদদ দিচ্ছে।
কোন গোষ্ঠী মদদ দিচ্ছে—তা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে একটি দলের একজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেটের দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। আমাদের দেশে এখন যে ধরনের টার্গেট কিলিং হচ্ছে, তেমনটি যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতেও হচ্ছে। সেখানে এগুলো এখন আর কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়ন স্বাভাবিক আছে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক আছে। এই শান্তিপূর্ণ অবস্থাকে বিশৃঙ্খলার দিকে নেওয়ার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদঘাটিত হবে।’
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী জানান, একই ধরনের ৩৬টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ৩৫টির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে তিনটি হত্যাকাণ্ডের বিচার নিষ্পত্তি হয়েছে। আরো ছয়টি হত্যার ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই ৩৫টি ঘটনার জন্য মোট ৪৯ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। কাজেই হত্যাকারী যে-ই হোক, আমরা তাদের ধরে ফেলতে পারব।’
হত্যাকারীরা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারকে টার্গেট করবে, এটা আমাদের ধারণা ছিল না। তবে তারা যত কৌশলই অবলম্বন করুক, রেহাই পাবে না।’
মোটরসাইকেলে তিনজন ওঠার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এখন আরো কঠোরভাবে তদারক করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।