এক যুগ পর কোপার সেমিফাইনালে কলম্বিয়া
২০১৫ সালের কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল কলম্বিয়াকে। এবারের আসরেও খেলা টাইব্রেকারে গড়ানোর পর হয়তো বিদায়ের আশঙ্কাই ভর করেছিল কলম্বিয়া সমর্থকদের মনে। তবে পেরুর বিপেক্ষ আর হতাশ হতে হয়নি তাঁদের। টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানের জয় দিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেছে কলম্বিয়া।
শেষবারের মতো কলম্বিয়া কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে খেলেছিল এক যুগ আগে, ২০০৪ সালে। গত দুই আসরেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে।
অন্যদিকে কোপা আমেরিকার গত দুই আসরে শেষ চারের লড়াইয়ে অংশ নিলেও এবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে পেরুকে। সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে খেলতে হবে মেক্সিকো ও চিলির মধ্যকার ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলার পর কোনো অতিরিক্ত সময়ের খেলা নেই কোপা আমেরিকার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ সংস্করণে। পেরু-কলম্বিয়ার মধ্যকার দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে তাই নির্ধারিত ৯০ মিনিট পরেই দুই দলের ফুটবলারদের নামতে হয় টাইব্রেকারের লটারিতে। সেখানে গোলরক্ষক ডেভিড ওসপিনার দারুণ নৈপুণ্যে জয় পেয়ে গেছে কলম্বিয়া। প্রথম দুটি পেনাল্টি ঠিকঠাক নিতে পারলেও তৃতীয়বারের বেলায় ব্যর্থ হয়েছে পেরু। মিডফিল্ডার মিগুয়েল ট্রাউকোর শট রুখে দেন ওসপিনা। চাপের মুখে চতুর্থ পেনাল্টি নিতে এসে গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শটই নিতে পারেননি পেরুর মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান কুয়েভা। অন্যদিকে প্রথম চারটি শটেই লক্ষ্যভেদ করায় ৪-২ ব্যবধানের জয় পেয়ে যায় কলম্বিয়া।
এর আগে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালালেও খুব বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি দুই দলের খেলোয়াড়রা। ২১ মিনিটের মাথায় কলম্বিয়া পেয়েছিল প্রথম সুযোগ। গোলের দেখা প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন দলটির তারকা মিডফিল্ডার হামেস রদ্রিগেজ। কিন্তু তাঁর জোরালো শট ফিরে আসে গোলপোস্টে লেগে।
শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্ত আগে পেরুও পেয়েছিল গোলের মোক্ষম সুযোগ। কিন্তু সেই গোলপ্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ওসপিনা।