‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হবে’
ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ কুমার পূজারী জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ হবে মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রকল্পের নির্মাণকাজ। তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ যেন সময়মতো শেষ হয় তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গেই কাজ করবে।
আজ বুধবার বাগেরহাটের রামপালে ‘মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রকল্প’ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রদীপ কুমার পূজারী এ কথা বলেন।
প্রদীপ কুমার পূজারী বলেন, ‘আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল কাজ শুরু হবে। এরই মধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের ভেতরই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এই প্রকল্পের কাজ করা হবে।’ তিনি আরো জানান, জীবনের মান উন্নয়নে যথাযথ পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন।
এ সময় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মনোয়ার ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাজ যখন ক্রমান্বয়ে শেষ হবে আমাদের প্রতি ইউনিটের বিদ্যুতের ওপর তিন পয়সা করে একটি ফান্ডে জমা হবে। এতে করে ব্ছরে ওই ফান্ডে ৩০ কোটি টাকা আসবে। এ টাকা আমরা স্থানীয় উন্নয়নে ব্যয় করব।’ সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সচিব।
এর আগে সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় শেলাই ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এ কর্মসূচির আওতায় ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা, বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্যসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নামে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে সই করেন বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য ও নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারত হেভি ইলেকট্রিক লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক প্রেমলাল যাদব।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী এ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫১০ কোটি টাকা।
পরিবেশবাদীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন রামপালে এ প্রকল্প নির্মাণের ক্ষেত্রে বিরোধিতা করছে। বিশ্বের অন্যতম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন এ প্রকল্প এলাকা থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এতে সুন্দরবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করে এসব সংগঠন। এরই মধ্যে চুক্তি বাতিলের দাবিও জানানো হয়েছে।