তুরস্কে অভ্যুত্থান-চেষ্টাকালে নিহত ২৬৫
তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টাকালে কমপক্ষে ২৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক হাজার ৪৪০ জন। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আন্দালুর এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
তুরস্কের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, তুরস্কের সেনাসদর দপ্তরে আত্মসমর্পণ করেছেন কমপক্ষে ৬০০ নিরস্ত্র সেনাসদস্য। পুরো ভবনটি ঘিরে রেখেছেন বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত সন্দেহে এক হাজার ৫৬৩ জন সেনাকে আটক করা হয়। এ ছাড়া সব মিলিয়ে দুই হাজার ৮০০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় বিবিসি।
এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একাংশ একটি টেলিভিশনে জানায়,তারা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইস্তাম্বুল শহরে বিভিন্ন সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়,অভ্যুত্থানচেষ্টার সময় বরফরাস প্রণালি ও ফাতিহ সুলতান মেহমেত সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আংকারায় গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
ইস্তাম্বুলে পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরেও গুলির শব্দ শোনা যায়। ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের বাইরে ট্যাংক মোতায়েন করা হয়। সব ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়।
তুরস্কের বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভিতে সেনাবাহিনীর ওই অংশের একটি বিবৃতি সম্প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, ‘দেশের পুরো ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’
সেনাসদস্যদের একাংশের ওই ঘোষণার পর রাতেই জনগণকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তাঁর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজধানী আংকারা ও গুরুত্বপূর্ণ শহর ইস্তাম্বুলে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে নামে সরকারসমর্থকরা। এরপর সকাল শুরু হতেই কয়েক ঘণ্টার অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।