জামালপুরের আটজনের বিরুদ্ধে রায় পড়া শুরু
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরের অ্যাডভোকেট শামসুল হকসহ আটজনের বিরুদ্ধে রায় পড়া শুরু হয়েছে। আজ সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ২৮৯ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম।
এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ছাড়া বেঞ্চের অপর সদস্য হলেন মো. সোহরাওয়ারদী।
এর আগে গতকাল রোববার একই ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন।
১৯ জুন উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ এনটিভি অনলাইনকে জানান, মামলার আট আসামির মধ্যে অ্যাডভোকেট শামসুল হক ও এস এম ইউসুফ আলীকে আজ সকাল ৯টার দিকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় হাজির করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন ছয়জন। তাঁরা হলেন—আলবদর বাহিনীর উদ্যোক্তা মো. আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আবদুল মান্নান, মো. আবদুল বারী, মো. হারুন ও মো. আবুল কাসেম।
ট্রাইব্যুনালের এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মিজানুর রহমান, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট এন এইচ তামিম। পলাতক ছয়জনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস সুবহান তরফদার।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর এই আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে গত বছরের ২৯ এপ্রিল এই আট আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। গত ২২ জুলাই পলাতক জামালপুরের ছয়জনকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৯ এপ্রিল এ আট আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পাঁচটি ঘটনায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।
আসামিদের বিরুদ্ধে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও গুমের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ।
এদিকে, গত বছরের ২৪ মার্চ রাজধানীর ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আট রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।