বাংলাদেশের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে সরাসরি অলিম্পিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। রিও অলিম্পিকে তাঁর হাতেই থাকবে বাংলাদেশের পতাকা বহনের ভার। অথচ ক্যারিয়ার শুরুর সময় অলিম্পিক সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না সিদ্দিকুরের।

কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বল কুড়ানোর চাকরি নিয়ে খেলাটির সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল সিদ্দিকুরের। ২০০৫ সাল থেকে শুরু করেন পেশাদার ক্যারিয়ার। এর পর দুবার জিতেছেন এশিয়ান ট্যুর। ২০১৩ সালে গলফ বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাংলাদেশের। কিন্তু অলিম্পিকে যে অংশ নিতে পারবেন, এটা কখনো কল্পনাই করেননি ‘বাংলার টাইগার উডস’খ্যাত সিদ্দিকুর। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন ক্যারিয়ার শুরু করি, তখন অলিম্পিক সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমার এক মালয়েশিয়ান ক্যাডির (গলফ ব্যাগ বহনকারী) কারণে আমি জানতে পারি যে, এটা কতটা মর্যাদাপূর্ণ একটা প্রতিযোগিতা। তিনিই আমাকে বলেছিলেন, অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলে আমি কীভাবে ইতিহাস গড়তে পারব। তখনই আমি এ ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠি।’

এ বছরের শুরুর দিকে মরিশাসে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতায় রানারআপ হয়ে সরাসরি অলিম্পিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন সিদ্দিকুর। এখন বাংলাদেশের হয়ে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক পদক জয়ের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘মরিশাসে আমার লক্ষ্য ছিল শীর্ষ দলের মধ্যে থাকা। তাহলেই আমি অলিম্পিকে অংশ নিতে পারতাম। কিন্তু সেখানে আমি দ্বিতীয় হয়ে যাই। আর এ ধরনের ঘটনা গলফে যেকোনো সময়, যেকোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গেই ঘটতে পারে। অলিম্পিক নিয়ে আমার চিন্তাভাবনা খুবই ইতিবাচক। আমি খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। সেখানে আমি নিজের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করব। বাকি সবকিছু ঈশ্বরের হাতে।’

১৯০৪ সালের পর আবার অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে গলফ।