অফিস যান না এসপি বাবুল, এভাবে চললে ব্যবস্থা
পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের চাকরি আছে। তবে তিনি অফিসে যান না। পুলিশ সদর দপ্তরে যোগাযোগও করেন না। এভাবে অনুপস্থিত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এসব কথা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকায় পুলিশ অফিসার্স মেস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইজিপি।
এ সময় পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা উপস্থিত ছিলেন।
এসপি বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার প্রকৃত খুনি কে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, প্রধান আসামি মুছাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।
এসপি বাবুলের চাকরি আছে কি না বা তিনি পদত্যাগ করেছেন কি না জানতে চাইলে শহীদুল হক বলেন, ‘সে চাকরিতে বহাল আছে। কিন্তু সে অফিসে আসেও না, আমাদের কিছু বলেও না। আমাদের সাথে যোগাযোগও করে না। সে কেন অফিসে আসে না, কেন যোগাযোগ করে না আমরা জানি না। সে (এসপি বাবুল) বলতেছে, সে মেন্টালি ডিপ্রেসড। চাকরি করার মতো তাঁর মানসিকতা নেই। এই কারণে সে আমাদের হেডকোয়ার্টারেও আসে না। কোনো অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগও করে না। এভাবে অনুপস্থিত থাকলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ৫ জুন মোটরসাইকেলে করে আসা তিন দুর্বৃত্ত এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে প্রথমে ছুরিকাঘাত ও পরে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। সেদিন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের বাসা থেকে ঠিক ৫০ গজ দূরে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তিনি আগে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের আগে এসপি পদে পদোন্নতি পেয়ে তিনি ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে আসেন। ঢাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। বর্তমানে ওই বাড়িতে সাত বছর বয়সী এক ছেলে ও চার বছরের এক মেয়েকে সময় দিচ্ছেন।