মিউনিখে বন্দুকধারীদের হামলায় নয়জন নিহত, পুলিশি অভিযান চলছে
জার্মানির মিউনিখ শহরে অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে হামলায় নয়জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। মিউনিখ পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে তারা। নিহতদের মধ্যে একজন হামলাকারী কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীদের এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যমতে, তিন বন্দুকধারী শপিং সেন্টারটিতে হামলা চালায়। তিন হামলাকারীকে ধরতে মিউনিখ শহরজুড়ে কড়া তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
বিভিন্ন জনসমাগমের স্থান থেকে সাধারণ জনগণকে সরে যেতে বলা হয়েছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আপাতত তাদের নিজেদের বাড়িতে অবস্থানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে মিউনিখ শহরের পুলিশের পক্ষ থেকে।
এরই মধ্যে জার্মানির তৃতীয় বৃহত্তম শহর মিউনিখের ট্রেন, ট্রাম ও বাসের একাধিক লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে প্রচুর পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছেন। হেলিকপ্টার ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করছেন তাঁরা। এখন পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন বা ব্যক্তি হামলার দায় স্বীকার করেনি। কারা, কী কারণে হামলা করেছে, সে ব্যাপারেও মিউনিখ পুলিশ কর্তৃপক্ষ কোনো ধারণা দিতে পারেনি।
অভিযান চলাকালে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো ছবি বা ভিডিও পোস্ট না করেন। সংবাদমাধ্যমগুলোকে এই অভিযান সরাসরি সম্প্রচার না করার অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার জার্মানির স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আনুমানিক তিন বন্দুকধারী শপিংমলে হামলা চালায়।
এর আগে গত সোমবার জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বুজবুর্গে স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৯টার দিকে একটি ট্রেনে কুঠার ও ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এক কিশোর। এতে চার ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। অন্যজন সামান্য আহত হয়েছেন। পরে হামলাকারী কিশোর পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
পুলিশের এক মুখপাত্রের ভাষ্য, ট্রেনটি বুজবুর্গে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে কুঠার ও ছুরি নিয়ে এক কিশোর যাত্রীদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে হামলাকারী ট্রেন থেকে নেমে পালায়। পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। পরে পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়।