মিউনিখে একজনই হামলাকারী, দাবি পুলিশের
জার্মানির মিউনিখে একজন বন্দুকধারীই হামলা চালিয়ে অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে নয়জনকে খুন করেছে বলে ধারণা করছে মিউনিখ পুলিশ। এর আগে প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যমতে ধারণা করা হচ্ছিল, তিন বন্দুকধারী শপিং সেন্টারটিতে হামলা চালিয়েছিল। মিউনিখ পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
পুলিশের ধারণা, হামলাকারী ১৮ বছর বয়সী একজন ইরানিয়ান, যে মিউনিখে বসবাস করত। কিন্তু কী কারণে সে এই হামলা চালিয়েছে, তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই বন্দুকধারীর হামলায় নয়জন নিহত হয়েছেন। বন্দুকধারী নিজেও নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে পাওয়া লাশটি হামলাকারীর বলে ধারণা করছে পুলিশ। ১০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ২০ জন ওই হামলায় আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জার্মান গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, হামলাকারী নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছে। এরই মধ্যে মিউনিখের যান চলাচল ব্যবস্থা খুলে দেওয়া হয়েছে। ট্রেন, বাস ও ট্রাম চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
শুক্রবার মিউনিখের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে হামলা চালায় ওই বন্দুকধারী। তখন থেকেই বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এ সময় হামলাকারীদের ধরার জন্য পুলিশ ব্যাপক অভিযান শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে পুলিশের অভিযান শেষ হওয়ার পর ধীরে ধীরে শহরটির স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। জার্মানির তৃতীয় বৃহত্তম শহর মিউনিখ।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের চিফ অব স্টাফ পিটার আলটেইমার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এখনো নিশ্চিত নই, এই হামলাকারী সন্ত্রাসবাদী কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল কি না। আমাদের পক্ষে এখনো সেটা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’
এর আগে গত সোমবার জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বুজবুর্গে স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৯টার দিকে একটি ট্রেনে কুঠার ও ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এক কিশোর। এতে চার ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। অন্যজন সামান্য আহত হয়েছেন। পরে হামলাকারী কিশোর পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
পুলিশের এক মুখপাত্রের ভাষ্য, ট্রেনটি বুজবুর্গে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে কুঠার ও ছুরি নিয়ে এক কিশোর যাত্রীদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে হামলাকারী ট্রেন থেকে নেমে পালায়। পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। পরে পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়।