মিউনিখে হামলায় আইএস জড়িত নয় : জার্মানি
জার্মানির মিউনিখে বিপণিবিতানে হামলাকারী তরুণ জনতার ওপর গোলাগুলির ব্যাপারে আচ্ছন্ন ছিল এবং তার সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। গতকাল শনিবার জার্মানির পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, হামলাকারী ওই তরুণের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও স্থানীয় লোকজন তাকে ডেভিড আলি সানবলি নামে চেনে। জার্মানি ও ইরানের দৈত্ব নাগরিকত্ব রয়েছে তার। হামলার সময় সে আত্মহত্যা করেছে।
হামলাকারীর কাছে থাকা নাইন এমএম গ্লক পিস্তল ও ৯০০টি বুলেট বিষয়ে তদন্ত করছে জার্মানির পুলিশ। পুলিশ এখনো জানে না, এ অস্ত্র কোথায় পেয়েছে ওই তরুণ। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কোনো অনুমতি ছিল না তার।
শুক্রবারের হামলায় ১০ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে সাতজন কিশোর-কিশোরী। কসোভোর তিনজন, তুরস্কের তিনজন ও একজন গ্রিসের।
পুলিশ জানিয়েছে, মিউনিখে জন্ম নেওয়া বন্দুকধারীর মানসিক সমস্যা ছিল। এ জন্য চিকিৎসা চলছিল তার।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, ‘আমরা গভীর শোকগ্রস্ত। আমরা আপনাদের মতোই বেদনাহত।’ দেশটিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
মিউনিখের পুলিশপ্রধান হুবারটাস আন্ড্রে বলেন, নরওয়ের অ্যান্ডার্স বেইভিকের হামলার পাঁচ বছর পূর্তি ছিল শুক্রবার, সেই হামলায় ৭৭ জন নিহত হয়েছিল। ওই হামলার সঙ্গে মিউনিখে হামলার স্পষ্ট মিল রয়েছে।
হত্যাকারী হামলার সময় বিদেশিবিরোধী স্লোগান দেয় বলে জানা গেছে। সে বলে, ‘আমি একজন জার্মান।’ ওই তরুণের বাড়ি থেকে কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডি মেইজিয়ের বলেন, ‘সন্দেহভাজনের অ্যাপার্টমেন্টে কিছু উপকরণ পাওয়া গেছে, যাতে তার গোলাগুলির উন্মাদনার প্রতি আগ্রহ দেখা গেছে।’
২০১১ সালের ২২ জুলাই হামলায় ৭৭ জনকে হত্যা করে ব্রেইভিক। সে এখন কারাগারের নির্জন সেলে রয়েছে।