সালাউদ্দিন কাদেরের স্ত্রী-ছেলেসহ সাতজনের রায় ১৪ আগস্ট
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী-ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৪ আগস্ট রায় ঘোষণা করবেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুালের বিচারক কে এম শামসুল আলম এ দিন নির্ধারণ করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামিম বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন। তিনি জানান, আজ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। তিনি আরো বলেন, মামলার বিচারকাজ চলাকালে ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী ফারুক আহমেদ, অস্থায়ী কর্মচারী নয়ন আলী, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী আইনজীবী মেহেদী হাসান ও ম্যানেজার এ কে এম মাহাবুবুল আহসান।
এ ছাড়া আজ জামিনে থাকা আসামি ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলাম, মাহবুবুল আহসান, ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীর জামিন বাতিল করে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
অপরদিকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীর জামিন বহাল রাখা হয়েছে।
এদিকে আজ ঢাকার আদালতপাড়া থেকে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পরিবার জানিয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার দিন সকালেই তাঁর স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ আনেন। ওই দিন তাঁরা রায়ের ‘খসড়া কপি’ মিডিয়া কর্মীদের দেখান। তখন তাঁরা আদালতের রায় নিয়ে কটাক্ষও করেন।
রায় ঘোষণার পরের দিন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরে ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
পরের বছরের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান এ মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।