রিও অলিম্পিকে মা-ছেলের ইতিহাস
আধুনিক অলিম্পিকের বয়স ১২০ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে অজস্র কীর্তি, বহু বীরত্ব আর অর্জনের সাক্ষী ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। তবে একই অলিম্পিকে মা আর ছেলের অংশগ্রহণের নজির এবারই প্রথম। জর্জিয়ার শুটার নিনো সালুকভাদজে আর তাঁর ছেলে সাৎনিয়া মাখাভারিয়ানি যে কীর্তি গড়ে আজ ইতিহাসের পাতায়।
৪৭ বছর বয়সী নিনো জর্জিয়ার কিংবদন্তি শ্যুটার। এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন তিনি। তাঁর আগে আটবার অলিম্পিকে অংশগ্রহণের কীর্তি ছিল শুধু একজনেরই—জার্মান-ইতালিয়ান ক্যানোয়িস্ট জোসেফা ইদেম গুয়েররিনির। নিনো অবশ্য নিজের জন্য নয়, ছেলেকে অলিম্পিকে নিয়ে আসতে পেরেই উচ্ছ্বসিত, ‘এখানে আমার ছেলেকে নিয়ে এসে আমি দারুণ খুশি আর গর্বিত। সে মাত্র শুরু করেছে। আমি তাই ওকে নিয়ে কিছুটা নার্ভাস। শুটিং রেঞ্জে থাকার সময় আমিই ওর কোচ আর পরামর্শক। অলিম্পিক ভিলেজে থাকার সময় আমি অবশ্য শুধুই মা। যদিও সে অন্য অ্যাথলেটদের সঙ্গেই বেশি থাকছে। আমার মতো বুড়ো মানুষের সঙ্গে নয়।’
১৯৮৮ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের হয়ে প্রথম অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ২৫ মিটার পিস্তলে স্বর্ণ আর ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে রুপা জিতেছিলেন নিনো। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯২ সাল থেকে তিনি জর্জিয়ার অলিম্পিক দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ক্রীড়া মহাযজ্ঞে অবশ্য আর একটিই পদক জিততে পেরেছেন, ২০০৮ সালে বেইজিংয়ে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ব্রোঞ্জ।
রিও অলিম্পিকে নিনোর ছেলে অংশ নেবেন ৫০ মিটার পিস্তল ও ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে। মায়ের মতো সাফল্য পাবেন কি না, তা জানেন না সাৎনিয়া। অলিম্পিকে অংশ নিতে পেরেই তিনি খুশি, ‘আমার মা প্রথম পদক জিতেছিলেন ১৯ বছর বয়সে। আমার তো মাত্র ১৮ বছর। আমার স্বপ্ন বিখ্যাত কোপাকাবানা সৈকতে সার্ফিং করা। হ্যাঁ, মা আমাকে এ ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছেন।’