সোয়া ৪ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া নৌপথে ছোট ফেরি চালু
সোয়া চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সীমিত আকারে ছোট ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে। দৌলতদিয়ার তিন নম্বর ঘাট মেরামত করা হলে আজ রোববার দুপুর দেড়টার দিকে এই ফেরি চলাচল শুরু হয়।
এর আগে পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়ার চারটি ফেরিঘাটই ভাঙনের কবলে পড়ে। সকাল ৯টা থেকে এই নৌপথে সব ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় উভয় পাড়ের ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় এক হাজার ২০০ যানবাহন। এতে যানবাহন শ্রমিক ও হাজারো যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ভোগান্তি এড়াতে বিকল্পপথ হিসেবে যানবাহন চালকদের বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এই নৌপথে চলাচল করার জন্য সচল ও বিকল মিলে নয়টি রো রো (বড়), ছয়টি ইউটিলিটি (মাঝারি) ও তিনটি (কে-টাইপ) ফেরি রয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে নদীতে পানি বেড়ে গিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটের কাছে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়। এতে ভাঙনের মুখে পড়ে ঘাট এলাকা। কয়েক দিন আগেও এই স্রোতে মাত্রাতিরিক্ত গতিতে ফেরি চলতে হয়েছে। অনেক ফেরিই স্রোতের প্রতিকূলে চলাচল করতে না পেরে বসিয়ে রাখা হয়। আবার কয়েকটি ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এই অবস্থায় সপ্তাহ খানেক ধরে তীব্র স্রোতে সচল ফেরিগুলো দিয়ে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছিল। এ কারণে উভয় পাড়ের ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ পড়ে। আজ রোববার সকালে দৌলতদিয়ার সব কটি ঘাট নদীভাঙনের শিকার হয়। এ কারণে এই নৌপথে সব ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুপুরে দৌলতদিয়ার একটি ঘাট সচল হওয়ায় ফের ছোট ফেরি চালু করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শেখ মোহাম্মদ নাসিম জানান, দৌলতদিয়ার একটি ঘাট সচল হওয়ায় ছোট ফেরি দিয়ে সীমিত আকারে যানবাহন পার করা হচ্ছে। ঘাট মেরামত না করা পর্যন্ত অন্যান্য ফেরি চালু করা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় ভোগান্তি এড়াতে যানবাহন চালকদের বিকল্পপথ হিসেবে বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহার করার অনুরোধও করেন তিনি।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, ঘাট এলাকায় দীর্ঘ সারিতে যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় আটকে আছে। যানজট নিরসনে ঘাট ও সংযোগ সড়কে যানবাহন সারিবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে।