স্বজনপ্রীতির কারণে নিম্নমানের নাটক প্রচারিত হচ্ছে : বান্নাহ
বেলা গড়িয়ে তখন সন্ধ্যা। পৌঁছে গেলাম মিরপুর ডিওএইচএসের ২ নম্বর রাস্তার শুটিংবাড়িতে। ভেতরে ঢুকতেই নিচতলায় চলছে সেট নির্মাণের কাজ। একবার উঁকি দিয়ে চলে গেলাম তিনতলায়। ওখানে অপেক্ষা করছেন পরিচালক মাবরুর রশীদ বান্নাহ। আগেই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে সব ঠিকঠাক করা ছিল। কিছু সময় অপেক্ষা করার পর তিনি ভেতরে নিয়ে গেলেন। প্রোডাকশনের ছেলেকে চা দিতে বললেন। তারপর নিজের কাজ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং বর্তমান মিডিয়ার সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখোমুখি আলোচনা করলেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
প্রশ্ন : আপনাকে তরুণদের নিয়ে কাজ করতে বেশি দেখা যায়। আপনি নিজে একজন তরুণ পরিচালক হওয়ার কারণেই কি তরুণদের নিয়ে কাজ করছেন?
উত্তর : সেটা তো অবশ্যই একটি কারণ। তরুণদের নিয়ে এই জেনারেশনের গল্পগুলো বলা যায়। ত্রিশ, চল্লিশ বা পঞ্চাশ বছরের কোনো অভিনয়শিল্পীকে দিয়ে এই জেনারেশনের গল্প বলা কষ্টকর। দর্শক গ্রহণযোগ্যতার জায়গা থেকে ওদের নিয়ে কাজ করতে হয়। শুধু তাই নয়, তরুণ শিল্পীদের নিয়ে কাজ করার আরো একটি অন্যতম বিশেষ কারণ হচ্ছে, আমি সব সময় চাই ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন ছেলেমেয়ে আসুক।
প্রশ্ন : একজন তরুণ পরিচালক হিসেবে তরুণদের নিয়ে কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জের?
উত্তর : অবশ্যই চ্যালেঞ্জের একটি কাজ। কারণ, আমি এমন অনেক ছেলেমেয়েকে নিয়ে কাজ করেছি, যারা আমার নাটকেই প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছে। তাদের আমার সেভাবে তৈরি করে নিতে হয়েছে। যদিও এটাকে আমি উপভোগ করি। কাদামাটি নিয়ে খেলার আলাদা একটি মজা আছে। ইচ্ছামতো গড়ে তোলা যায়। আমি মূলত সেই কাজটাই করি। এভাবে যদি কোনো তরুণ শিল্পীকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে পারি, সেটাই একজন পরিচালক হিসেবে আমার সার্থকতা।
প্রশ্ন : পেশাদারিত্বের দিক থেকে বলতে গেলে তরুণ শিল্পীরা কতটা পেশাদারি মনোভাবাপন্ন?
উত্তর : পেশাদারিত্ব বিষয়টি মূলত ব্যক্তিবিশেষের ওপর নির্ভর করে। সবাই একরকম নয়। একরকম ভাবাও উচিত নয়। আমার ক্ষেত্রে তরুণদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। তারা প্রচুর এনার্জেটিক থাকে। ভালো কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। তবে দু-একটি যে ব্যতিক্রম নেই, তা নয়। এর মধ্যে ব্যতিক্রম আছে। অনেকের ভেতর অল্পতে স্টারডম ঢুকে যায়। এ রকম আমি কয়েকজনকে পেয়েছি। তাদের নিয়ে আমি আর দ্বিতীয়বার কাজ করিনি এবং আর কখনোই কাজ করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রশ্ন : অভিযোগ আছে, তরুণ অভিনয়শিল্পীরা শুটিংয়ে মনোযোগের চেয়ে সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড করতে বেশি ব্যস্ত থাকেন। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টা কতটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক?
উত্তর : খুব একটা নেতিবাচক আমি বলব না। এখন ফেসবুক, টুইটারের যুগ। আমাদের এই জেনারেশনটা খুব বেশি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে অভ্যস্ত। সেলফি তো যে কেউ তুলে আপলোড দেয়। অভিনয়শিল্পী হিসেবে তারা বেশি ফোকাসে থাকে বিধায় তাদেরটা বেশি চোখে পড়ে। সমালোচনা হয়। তবে কেউ কেউ আছে, সেলফিটাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়। নিজের প্রচারেই ব্যস্ত থাকে। আসলে যারা এমন করে, তারা কখনোই সত্যিকার অর্থে অভিনয়শিল্পী নয়।
প্রশ্ন : আপনার নাটকগুলোতে ইউটিউব তারকাদের উপস্থিতি দেখা যায়। তাদের অনলাইন জনপ্রিয়তার কারণে কি কাস্টিং করছেন?
উত্তর : আমার লক্ষ্য নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রী বের করা। যার ভেতর আমি প্রতিভার ছিটেফোঁটা পাব, তাকে সাহায্য করব। কেননা, একটি ছোট সুযোগ পেয়ে সে অনেক ভালো মানের শিল্পী হয়ে যেতে পারে। আমি সালমান মুক্তাদির, শামীম হোসেন সরকার, তামিম মৃধা কিংবা সৌভিকের উদাহরণ যদি টানি দেখা যাবে, এরা ইউটিউব স্টার। ইউটিউবের মাধ্যমে তারা জনপ্রিয়। তারা বোঝাতে পেরেছে তাদের ভেতর প্রতিভা আছে। কিন্তু তারা তাদের অভিনয় প্রতিভাটা সেভাবে দেখাতে পারে না। প্রফেশনাল ডিরেক্টরদের হাতে পড়ে না বিধায় সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এখন তারা ভালো অভিনয় করছে। কারণ, তারা অভিনয় প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। সুতরাং তাদের ইউটিউব ট্যাগ দেওয়াটা দরকার আছে বলে মনে হয় না।
প্রশ্ন : আর অনলাইন জনপ্রিয়তা কাজে লাগানোর বিষয়টি?
উত্তর : সত্যি বলতে, অনলাইন জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানো হয়। তবে এতে হিতে বিপরীত আছে। তাদের নিয়ে যদি খারাপ কাজ করা হয়, তাহলে সমালোচনার জায়গা তৈরি হয়ে যায়। তাই তাদের নিয়ে কাজ করাটাও একটা রিস্ক।
প্রশ্ন : আপনি নাটকে নিজস্ব একটি ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন। ভাবমূর্তি মানে দর্শক আপনার নাটক মানেই বোঝে তারুণ্যনির্ভর কিছু, যেখানে তারুণ্যের উদ্দীপনা, প্রেম-ভালোবাসা-বিরহ এসবের সমন্বয়। বাস্তবে তরুণদের ভেতর কিন্তু এমনটাই দেখা যায়। আপনার কাছে কি মনে হয় এই বাস্তবতা সফলভাবে তুলে ধরতে পারছেন?
উত্তর : আমার নাটকে এই জেনারেশনের গল্পটা বলার চেষ্টা করি। গল্পের সঙ্গে বাস্তবের অনেক মিল পাওয়া যাবে। অনেক গল্প আছে, যেগুলো আমার সঙ্গে, আমার ফ্রেন্ডদের সঙ্গে ঘটেছে। সেই গল্পগুলো স্ক্রিপ্টিং করে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দিয়ে বলাই। এমন অনেক দর্শক আছেন, যাঁরা আমার নাটকের গল্পের সঙ্গে নিজের জীবনের অনেক মিল পেয়েছেন। আমাকে ফোন দিয়ে বা ফেসবুকে মেসেজে অনেক দর্শক মিল পাওয়ার কথা জানায়। এখন আমি সফল হচ্ছি কি না, সেটা আমার থেকে দর্শক ভালো বলতে পারবেন। জাজমেন্টের দায়িত্বটা তাঁদের হাতেই রাখতে চাই।
প্রশ্ন : অনেকে বলে থাকেন, বর্তমানে নাটকের ক্রান্তিকাল চলছে। ভালো মানের নাটক নির্মিত হচ্ছে না। আপনার কী মনে হয়?
উত্তর : ক্রান্তিকাল চলছে, আবার চলছে না। এই যে আপনি আমার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। দর্শক যদি আমার কাজ না-ই দেখত, তাহলে আপনি তো আমার সাক্ষাৎকার নিতেন না। আমার কথা না হয় বাদ দিলাম। অনেক তরুণ নির্মাতা আছেন, ভালো কাজ করছেন। আবার ভালোর পাশাপাশি কিন্তু অনেক মানহীন নাটক নির্মিত হচ্ছে। নিম্নমানের কনটেন্ট দিয়ে নাটক নির্মাণ করছেন। যদিও তাদের রেশিওটা সংখ্যায় বেশি। মানুষ চ্যানেলে এসব বস্তাপচা কনটেন্টের নাটক দেখছে। এর জন্য দায়ী চ্যানেলের প্রোগ্রাম কন্ট্রোল, যাঁরা থাকেন তাঁরা। তারা চাইলে নিম্নমানের নাটক প্রচার বন্ধ করে দিতে পারে। এতে ভালো নাটক নির্মাণের প্রবণতা বাড়বে।
প্রশ্ন : সে ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির কারণেই কি নিম্নমানের নাটক চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে?
উত্তর : অবশ্যই, স্বজনপ্রীতির কারণে নিম্নমানের নাটক চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে। চ্যানেলে মাঝেমধ্যে এমন কিছু নাটক অন-এয়ার হতে দেখি, যা সত্যি আমাকে অবাক করে দেয়। কিন্তু এর একটি পজিটিভ দিকও আছে। খারাপ নাটক নির্মিত হয় বলেই ভালো-মন্দের পার্থক্যটা বোঝা সম্ভব হয়।
প্রশ্ন : নাটকের গল্পের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ রয়েছে। গল্প ভালো হচ্ছে না। কোনোরকমে একটি গল্প দাঁড় করিয়ে নাটক বানানো হচ্ছে। এর পেছনে দায়ী কি গল্প সংকট?
উত্তর : গল্প বলতে বলতে একসময় শেষ হয়ে যায়। শেষ হয়ে যাওয়া গল্পকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়। যারা এটা পারে, তারাই নাটকের গল্পে নতুনত্ব আনতে পারে। যারা পারে না, তাদের গল্প ভালো হচ্ছে না বলে দর্শক দেখে না। এটা সম্পূর্ণ পরিচালকের উপস্থাপনের ওপর নির্ভর করে। গল্প সংকটের বিষয় বলতে গেলে বলব, খুব যে গল্প সংকট তা নয়। গল্পের উপাদান আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে। শুধু কৌশলে তুলে আনতে হবে।
প্রশ্ন : তরুণ নির্মাতাদের সংগঠন ‘টেলিভিশন ডিরেক্টরস ফোরাম’ সম্পর্কে কিছু বলুন।
উত্তর : এটি আমাদের সংগঠন। তরুণদের সংগঠন। এই তরুণ বলতে বয়সে তরুণ নয়। যারা মনের দিক থেকে তরুণ, যাদের চিন্তা-চেতনা এই প্রজন্মের, তারাই তরুণ। আমরা পরিবর্তনে বিশ্বাসী। যারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সময়োপযোগী করতে পারেনি, তাদের জন্য এই সংগঠন নয়। আমরা সমমনা ডিরেক্টররা মূলত এই ফোরামের সদস্য। এখানে আমরা আমদের মনের কথা বলব। চিন্তার জগৎকে প্রসারিত করব। আমি মনে করি, এটি টেলিভিশন ডিরেক্টরদের জন্য বড় একটি প্ল্যাটফর্ম। নাটকের মানোন্নয়নে ফোরাম কিছু পদক্ষেপ হাতে নেবে, যা নিশ্চয়ই নাটকের মানোন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
প্রশ্ন : কয়েক দিন আগেই তো ‘ডিরেক্টরস গিল্ড’ নামে পুরোনো একটি সংগঠন পুনরুজ্জীবিত হলো। নির্বাচনও হয়েছে। এখন একই ধরনের এ দুটি সংঠন কি সাংঘর্ষিক নয়?
উত্তর : আগেই বলে রাখি, এটি একই ধরনের সংগঠন নয়। একই ধরনের না এই কারণে, আমি নিজেও ডিরেক্টরস গিল্ডের সদস্য। শুধু আমি নই, টেলিভিশন ডিরেক্টরস ফোরামের প্রায় সবাই ডিরেক্টরস গিল্ডের সদস্য। সুতরাং এটি কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক নয়।
প্রশ্ন : কানাঘুষা হচ্ছে, ‘ডিরেক্টরস গিল্ড’-এর বিরোধিতা করে ‘টেলিভিশন ডিরেক্টরস ফোরাম’ গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি কতটা সত্য?
উত্তর : এটি একেবারে ভুল ধারণা।
প্রশ্ন : পৃথক দুটি সংগঠন না করে একটি সংগঠনে একত্র হয়ে কি কাজ করা সম্ভব ছিল না?
উত্তর : সম্ভব ছিল না, তা নয়। তবে আমরা চেয়েছি সমমনা ডিরেক্টররা একত্র হতে। তাই আলাদা করে ফোরাম করা। আমরা ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে আছি। এটা থেকে বের হয়ে গিয়ে ফোরাম গঠন করিনি। ডিরেক্টরস গিল্ড যখনই ডাকবে, তখনই আমাদের পাবে।
প্রশ্ন : এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি, একবার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন পরিচালনায় এসেছেন চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন এ জন্য। তো, কতদূর অগ্রগতি হলো সেদিকটায়?
উত্তর : আমি এখনো বলব, চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পরিচালনায় এসেছি। কিছুদূর এগিয়েছি। এখন স্ক্রিপ্টিংয়ের জায়গাটায় আছি। হয়তো খুব শিগগির চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দেব। তবে কবে, সেটা এখনই বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : এফডিসি ঘরানার পরিচালকরা মনে করেন, নাটকের পরিচালকরা চলচ্চিত্রের খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী। আদৌ কি তাই?
উত্তর : আসলে এই বিভাজনটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। ফিল্মমেকারের পরিচয় কেবল ফিল্মমেকার হওয়া উচিত। আলাদা কোনো পরিচয় হওয়া উচিত নয়। নাটকের নির্মাতা আর এফডিসির নির্মাতা এ দুই গ্রুপে ভাগ করা অযৌক্তিক। গ্রুপের বিভাজন কখনো ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আনতে পারে না।
প্রশ্ন : দেশীয় চলচ্চিত্রের খারাপ অবস্থার জন্য আপনি কাকে বা কী কী বিষয়কে দায়ী করবেন?
উত্তর : খুব কঠিন একটি প্রশ্ন। উত্তর বেশ বড়। তবু সংক্ষেপে বলছি। চলচ্চিত্রের খারাপ অবস্থার জন্য অনেক বিজ্ঞজন নানাভাবে নানা দিক তুলে ধরেছেন। আমি যেটা মনে করি, হলের সমস্যা আর ভালো গল্পের ছবি নির্মাণ করতে না পারা বিশেষ কারণ। এ ছাড়া আকাশসংস্কৃতির একটা ব্যাপার আছে। টিভি খুললেই নতুন নতুন সিনেমা দেখতে পারছে মানুষ। তাই সিনেমা হলে গিয়ে ছারপোকার কামড় খেয়ে সিনেমা দেখতে চায় না। কিন্তু আমি আশাবাদী, খুব শিগগির এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। এই ঈদের ছবির কথাই ধরি, সবকটি ছবি ভালো ব্যবসা করেছে। দর্শক আগ্রহসহকারে ছবিগুলো দেখেছে। এটা অবশ্যই একটি ভালো লক্ষণ এবং ভালো দিক।
প্রশ্ন : ভারতীয় ছবি আমদানির ব্যাপারে আপনার মতামত কী?
উত্তর : যেখানে নিজের দেশের ছবি দাঁড়াতে পারছে না, সেখানে ভারতীয় ছবি আমদানি করার বিষয়টি দেশের চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য অশনিসংকেত বলতে পারেন। সরাসরি বলতে গেলে আমি আমদানির ঘোর বিরোধী। আর যদি আমদানি করতেই হয়, তাহলে চরম মাত্রার ট্যাক্স নির্ধারণ করা উচিত। পারলে এক হাজার পার্সেন্ট ট্যাক্স হওয়া দরকার।
প্রশ্ন : ক্যারিয়ারের দিক থেকে আগামী পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
উত্তর : নিজেকে ফিল্মমেকার হিসেবে দেখতে চাই। অন্তত একটি ফিল্ম রিলিজ হয়েছ। আপাতত এতটুকু আশা করছি।