ব্রাজিলের খুদে জিমন্যাস্ট ‘ফ্লাভিনিয়া’
উচ্চতা চার ফুট চার ইঞ্চি, ওজন ৩৫ কেজি। ফ্লাভিয়া সারাইভা যেন ছোট্ট এক পুতুল। তবে আকার-আয়তনে ছোটখাটো হলেও ব্রাজিলে আজ তিনি বিশাল তারকা। দেশের মানুষের আদরের ‘ফ্লাভিনিয়া’।
অলিম্পিকে আজ পর্যন্ত জিমন্যাস্টিকস থেকে কোনো পদক পায়নি ব্রাজিল। ১৬ বছর বয়সী ফ্লাভিনিয়ার ইতিহাস গড়ার সম্ভাবনা হয়তো ক্ষীণ। তবে এরই মধ্যে ব্রাজিলিয়ানদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রতিটি পারফরম্যান্সের সময় বিপুল হর্ষধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে রিওর অলিম্পিক অ্যারেনা।
ফ্লাভিনিয়ার জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার বড় কারণ কয়েকটি ‘বিশেষ’ ছবি। ব্রাজিল অলিম্পিক দলের প্রকাশ করা ছবিগুলোতে তাঁর সঙ্গে আছেন কয়েকজন দীর্ঘদেহী মানুষ। তাঁদের একজন ছয় ফুট আট ইঞ্চি উচ্চতার বিচ ভলিবল খেলোয়াড় অ্যালিসন চেরুত্তি। আছেন চেরুত্তির চেয়েও লম্বা বাস্কেটবল খেলোয়াড় নেনে হিলারিও।
রিও ডি জেনিরোর ত্রেস রিওস অঞ্চল থেকে উঠে আসা ফ্লাভিনিয়ার জিমন্যাস্টিকসের প্রতি আগ্রহের সূচনা আট বছর বয়সে। তিনি জানাচ্ছেন, ‘জিমন্যাস্টিকস শুরু করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম আমার এক বড় বোনের কাছ থেকে। তিনি লক্ষ্য করেছিলেন, ব্যাক ফ্লিপ দিতে দারুণ মজা লাগে আমার।’
আস্তে আস্তে জিমন্যাস্টিকসের সঙ্গে জীবন জড়িয়ে ফেলা ফ্লাভিনিয়ার ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য এসেছিল দুই বছর আগে। চীনের নানজিংয়ে অনুষ্ঠিত যুব অলিম্পিকে ফ্লোর এক্সারসাইজ ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন তিনি। আর অল-অ্যারাউন্ড ও ব্যালান্স বিমে পেয়েছিলেন রুপা।
এবার দেশের মাটিতে তাঁর চরম পরীক্ষা। পদক জিতলেই নাম উঠে যাবে ইতিহাসের পাতায়। ফ্লাভিনিয়া অবশ্য জানিয়েছেন, পদক পেলেও কোনো পরিবর্তন আসবে না তাঁর মধ্যে, ‘আমি একই মানুষ থাকব আর চেষ্টা করব নিজেকে অপরিবর্তিত রাখার। আমার কাজ হলো দেশের জন্য ভালো ফল নিয়ে আসা। আর আমি সেটাই করতে চাই।’