বোল্টের অন্যরকম বিয়েভাবনা!
রিও অলিম্পিকেও ১০০ মিটার স্প্রিন্ট জিতে নিয়েছেন উসাইন বোল্ট। বোল্টের মা জেনিফার বোল্টের প্রতিক্রিয়া, ‘হ্যাঁ, বেশ ভালো। আশা করি এখন স্থির হবে, বিয়েটাও করে ফেলবে।’
উসাইন বোল্ট আর বিয়ে? আগামী ২১ আগস্ট ত্রিশে পা দেবেন বোল্ট। এখনই বিয়ে? দ্য টেলিগ্রাফকে বোল্ট গত মাসেই জানিয়েছেন অন্তত পঁয়ত্রিশের আগে বেলতলায় যাচ্ছেন না তিনি। তিনি তো আর ওয়েন রুনি নন যে ২১ বছর বয়সেই বিয়ে করে জীবনটা ‘শেষ’ করে দেবেন! আর নিজেই বলেছেন, ‘একজন নারীর সঙ্গে থাকাটা কষ্টকর।’
ঠিকই পড়েছেন, বিয়ের প্রসঙ্গে কথা ওঠায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবলারের জীবন দিয়েই উদাহরণ দিয়েছেন। সেই ২০০৮ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সেই স্কুলজীবনের বান্ধবী কলিনকে বিয়ে করেন রুনি। এখন তো দারুণ সুখে সময় কাটছে রুনি-কলিনের। সঙ্গে আছে তিনটি শিশু।
তাতে কি? প্রশ্নটা বোল্টেরই। বরং এত কম বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসাকে ‘অন্যায়’ বলছেন গতিমানব। বোল্টের ভাষায়, ‘এই যে রুনি বিয়ে করে ফেলল কম বয়সে, এমনকি ইংরেজ ফুটবলারদের খ্যাতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংসারে ঢুকে পড়তে হয়। আমার মনে হয় এটা তাদের প্রতি অন্যায় করা হয়।’
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, জেনিফার তাঁর ছেলে বোল্টের সংসার দেখার জন্য উদগ্রীব। বোল্টের সন্তানকে দেখারও খুব ইচ্ছে তাঁর।
জেনিফার অবশ্য এবার আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘আমি জানি এবার ও (বোল্ট) স্থির হবে। সংসার শুরু করার কথা আমাকে ও কয়েকবারই বলেছে।’
বোল্ট সেটা তাঁর মাকে বলতেই পারেন। কিন্তু সেটা যে খুব দ্রুতই তা কিন্তু নয়। কেন সেটা বোল্টের কাছেই শোনা যাক, ‘একজন নারীর সঙ্গে থাকাটা কষ্টকর। আর যেখানে মেয়েরা নিজেদের উড়িয়ে নিয়ে আসবে আপনার দিকে, সেখানে তা খুবই কষ্টকর। আপনি বিখ্যাত হচ্ছেন, নারীরা আপনাকেই চাইছে আর সেখানে আপনি ২১ বছর বয়সে বিয়ে করে ফেললেন। আপনি একমুহূর্তও আর বাঁচলেন না।’
জেনিফার কবে নাতি-নাতনি দেখবেন কে জানে!