ঢুকেছেন সংশ্লিষ্ট সবাই, ফাঁসির অপেক্ষা
রাতেই কার্যকর হতে যাচ্ছে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর দণ্ড।
আজ শনিবার দুপুরে রায় কার্যকরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছায়। এর অনুলিপি পাঠানো হয় জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনের কাছে।
বিকেলে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ করতে যান মীর কাসেম আলীর সঙ্গে। পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, এটিই শেষ সাক্ষাৎ তাদের। এর পাশাপাশি কারাগার এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। নিয়ন্ত্রণ করা হয় ওই এলাকার যান চলাচল। তার পরই গাজীপুর ও ঢাকায় মোতায়েন করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের।
পরিবারের সদস্যরা কারাগারে থাকা অবস্থাতেই সেখানে প্রবেশ করেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, তার আগে প্রবেশ করেন কারা উপমহাপরিদর্শক গোলাম হায়দারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তারপর একে একে কারাগারে প্রবেশ করেন ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাহী হাকিম ও সিভিল সার্জন। কোনো ফাঁসির রায় কার্যকরের সময় কারাগারে এসব সরকারি কর্মকর্তাই উপস্থিত থাকেন।
এ ছাড়া এরই মধ্যে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সও কারাগারে প্রবেশ করেছে।
এ সময়ই কারাগারের প্রধান ফটকে এসে নিরাপত্তার ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ।
এর মধ্যেই খবর আসে, ফাঁসির মঞ্চের মহড়া এবং জল্লাদদের প্রস্তুত থাকার খবর।
এদিকে কারাগারের আশপাশের এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে যে গণমাধ্যমকর্মীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন বা তথ্য পাঠাচ্ছিলেন তাঁদের কারাগার এলাকা থেকে দূরে সরে কাজ করতে হচ্ছে।