অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও অনিশ্চিত ডি ভিলিয়ার্স
ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ধারণা করা হচ্ছিল, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেই আবার মাঠে ফিরতে পারবেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু এখন সেটা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। আগামী মঙ্গলবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে ডি ভিলিয়ার্সের বর্তমান পরিস্থিতি। ফিটনেস পরীক্ষায় উতরাতে না পারলে ডাক্তারের ছুরি-কাঁচির নিচেও যেতে হতে পারে এ সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানকে। আর তেমনটা হলে লম্বা সময়ের জন্যই মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ককে।
গত এক-দেড় বছরে বিরতিহীনভাবে খেলে গেছেন ডি ভিলিয়ার্স। জাতীয় দলের হয়ে খেলার পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন বেশ কয়েকটি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায়। একটানা এভাবে খেলে যাওয়ার কারণেই চোটের মুখে পড়েছেন বলে মনে করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার টিম ম্যানেজার মোহাম্মেদ মোসাজি, ‘আইপিএল, সিপিএলসহ বেশ কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন লিগে অংশ নিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনকার ক্রিকেটীয় সূচিও আগের চেয়ে অনেক লম্বা।’
ছয় সপ্তাহের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে অনেকটাই সেরে উঠেছেন ডি ভিলিয়ার্স। তবে এখনো নির্দিষ্ট কিছু শট খেলতে গেলেই হাতে ব্যথা অনুভব করছেন তিনি। আগামী মঙ্গলবার একটি পরীক্ষা শেষেই জানা যাবে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তিনি খেলতে পারছেন কি না। ডি ভিলিয়ার্সের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি জানিয়ে মোসাজি বলেছেন, ‘আমরা আগামী মঙ্গলবার আবারও একটি পরীক্ষা করব। তখনই একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অবশ্যই তাঁকে সেই পরীক্ষায় পাস করতে হবে। সেটা না পারলে তাঁকে একটা অস্ত্রোপচার করাতে হবে। আর তেমনটা হলে অন্তত ছয় থেকে আট সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও খেলতে পারবেন না।’ আগামী নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে তিনটি টেস্ট খেলার কথা দক্ষিণ আফ্রিকার।
ডি ভিলিয়ার্স শেষ পর্যন্ত খেলতে না পারলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দেবেন ফাফ দু প্লেসি। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচটি ওয়ানডে খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা।