নাগরিকদের হাতে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) তুলে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুটি ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকায় এ স্মার্টকার্ড বিতরণের কাজ শুরু হয়।

তবে সঠিক তথ্য না জানার কারণে আজ কার্ড বিতরণের প্রথম দিন কার্ড নিতে আসা বেশির ভাগ নাগরিককে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

কার্ড নিতে আসা ব্যক্তিদের অভিযোগ, তাঁদের কারো কারো স্মার্টকার্ডের বাক্সই নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সকালে রাজধানীর রমনা থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য নির্ধারিত সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ কেন্দ্রে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে কার্ডপ্রত্যাশীদের ভিড়। মূলত সেখানে সোমবার কাকরাইল (রমনা অংশ), ডিআইডি কলোনি, নিউ বেইলি রোড, কাকরাইল (মতিঝিল অংশের) বাসিন্দাদের মধ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু তথ্য না জানার কারণে সেখানে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অনেকেই ভিড় করছেন।

রমনার সার্কিট হাউস এলাকার নীলুফার আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আসার পরে বলছে, আজকে রমনার সব এলাকার বাসিন্দাদের স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে না। তাই চলে যাচ্ছি। আসলে এটা নাগরিকদের জানানো দরকার প্রচারণার মাধ্যমে।’

একই অভিযোগ জয়নাল আবেদিন চৌধুরীর। তিনিও সার্কিট হাউস এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে তেমন কোনো প্রচারণা চালায়নি। এ জন্য তাঁদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

এ ছাড়া নিউ বেইলি রোড এলাকার বাসিন্দা রেহানা পারভীন জানান,  তিনি কার্ড নেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করলেও কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁদের কার্ডের বক্স খুঁজতে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পরে আসতে বলা হয়েছে তাঁকে।

তবে স্মার্টকার্ড পেয়ে খুশি কাকরাইল এলাকার বাসিন্দা জাহেদা সাত্তার। তিনি বলেন, ‘সব প্রক্রিয়া শেষ করে আমার কার্ড পেতে সময় লেগেছে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। আমি খুশি যে স্মার্টকার্ড পেলাম। আগের থেকে এই কার্ডে আমার ছবিটিও ভালো হয়েছে। তবে এখানে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। কারণ, এখানে নাগরিকদের তথ্যসেবা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। কারণ অনেকেই জানে না, তাঁদের আজকেই দেওয়া হবে কি না। তাই যাঁদের কার্ড আজকে দেওয়া হবে না, তাঁদেরটা কবে দেওয়া হবে এ বিষয়ে সহায়তা করার জন্য লোক থাকা দরকার ছিল এখানে।’

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, ‘আজকে পরীক্ষামূলকভাবে কার্ড বিতরণ করছি। তাই কিছু সমস্যা হচ্ছে। আজকে কী কী সমস্যা দেখা যায়, তা চিহ্নিত করে পরে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আশা করি, আগামীকাল থেকে কোনো সমস্যা হবে না।’

সুষ্ঠুভাবে কার্ড বিতরণের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন এ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

সোমবার ঢাকায় রমনা ছাড়াও উত্তরা থানার ১ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে উত্তরা মডেল টাউন সেক্টর-১ ও ২ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হচ্ছে।