দুর্গাপূজা শুরু, আজ মহাসপ্তমী
ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ, বোধন আমন্ত্রণ, অধিবাস ও ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব শুক্রবার শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ষষ্ঠীপূজা। আজ শনিবার মহাসপ্তমী।
সকাল থেকেই চণ্ডিপাঠে মুখর ছিল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব পূজামণ্ডপ। ঢাকের বাদ্য আর শঙ্খের ধ্বনিতে ভিন্নমাত্রার যোগ হয়। সকালে ভক্তদের উপস্থিতি কম দেখা গেলেও বিকেলে পূজা অনুষ্ঠানের সময় ভিড় বাড়তে থাকে। সন্ধ্যায় বিভিন্ন মণ্ডপ আলোকসজ্জায় সাজানো হয়। রামকৃষ্ণ মিশনে এ উপলক্ষে সারা দিন পূজা-অর্চনা ও ভজনসংগীত অনুষ্ঠিত হয় এবং রাতে হয় আরাত্রিক।
শনিবার মহাসপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে। এ দিনে শারদীয় দুর্গাদেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, সপ্তম্যদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা প্রশস্তা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, এবার সারা দেশে ২৯ হাজার ৩৯৫টি স্থায়ী-অস্থায়ী মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩২৪টি বেশি। আর রাজধানী ঢাকায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২২৯টি মণ্ডপে।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছেন। আর দেবী স্বর্গালোকে বিদায় নেবেন ঘোটক (ঘোড়ায়) চড়ে।
পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে এ পূজার আয়োজন করায় এ পূজাকে ‘বাসন্তী পূজা’ বলা হয়। রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধারে যাত্রার আগে শ্রীরাম চন্দ্র দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে। এ জন্যই দেবীর শরৎকালের এ পূজাকে অকাল বোধনও বলা হয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।