দুদিন পর মিলল নিখোঁজ চার ব্যবসায়ীর লাশ
নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির দুদিন পর নিখোঁজ চার ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ট্রলারডুবির ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মেঘনা নদীর নীলক্ষা এলাকা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
যে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁরা হলেন—বাহেরচরের আনোয়ার ফরাজী, আবদুল্লাহপুরের আবদুল হক, ফরিদ মিয়া ও মেহেরনগরের খলিল মিয়া।
এদিকে, নিখোঁজ এই চার ব্যবসায়ীর লাশ তাঁদের বাড়িতে পৌঁছার পর স্বজনদের আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে গোটা এলাকার পরিবেশ।
গতকাল বুধবার প্রচণ্ড স্রোত আর ঢেউয়ের কারণে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সারা দিন অনুসন্ধান চালিয়েও এই চারজনের লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। পরে আজ সকালে লাশগুলো ফুলে নীলক্ষা এলাকায় ভেসে উঠলে টহলরত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেগুলো উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তানন্তর করেন।
গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের বেলোয়ারচর আনন্দবাজারের পার্শ্ববর্তী মেঘনা নদীতে এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বাইশমৌজা গরুর বাজার থেকে ব্যবসায়ীরা গোলাম মিয়ার ট্রলারে করে রায়পুরা উপজেলার চরসুবুদ্ধি এলাকায় আসছিলেন। পথে বেলোয়ারচর আনন্দবাজারের এলাকায় মেঘনা নদীতে ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে। একপর্যায়ে ট্রলারটি কাত হয়ে ডুবে যায়। ওই সময় ট্রলারে থাকা অধিকাংশ গরু ব্যবসায়ী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও চারজন নিখোঁজ হন। এ ছাড়া ট্রলারে থাকা ১৫টি গরু ও মহিষ পানিতে ডুবে মারা যায়।
প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন, পরে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। পরদিন, অর্থাৎ গতকাল সকালে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ছয় সদস্যের ডুবুরি দল নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
পরে আজ সকালে নিখোঁজ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।