শেষ বিতর্কেও জয়ী হিলারি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে শেষ বিতর্কে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তিনি ৫২ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন। অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন আছে ৩৯ শতাংশের।
বিতর্কের পর সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওআরসির জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে অবস্থিত নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিলারি ও ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সঞ্চালক ছিলেন ক্রিস ওয়ালেস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, প্রথম ও দ্বিতীয় বিতর্কে পরস্পরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন হিলারি ও ট্রাম্প। তবে তৃতীয় বিতর্কে বিভিন্ন নীতিগত বিষয় নিয়ে দুই প্রার্থীর মধ্যে বাকযুদ্ধ হয়।
বিতর্কে ট্রাম্পকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ‘পুতুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন হিলারি। জবাবে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, হিলারিকে বারবার বোকা বানিয়েছেন পুতিন।
হিলারি অভিযোগ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সাইবার হামলার জন্য রাশিয়া ও পুতিনের নিন্দা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন ট্রাম্প।
‘আমাদের রক্ষায় শপথ নেওয়া সামরিক ও বেসামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে তিনি (ট্রাম্প) ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্বাস করেছেন’, বলেন হিলারি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ভাষ্য, সম্প্রতি ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির ওপর সাইবার হামলা ও চুরি হওয়া ই-মেইল ফাঁসে রাশিয়ার কর্তাব্যক্তিরা দায়ী।
উল্লিখিত বিষয়ে ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন হিলারি। ট্রাম্পকে পুতিনের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ করেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী। তবে ট্রাম্প এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, পুতিনের সঙ্গে হিলারির চেয়ে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করবেন তিনি।
‘সে (পুতিন) আমার সম্পর্কে চমৎকার কথা বলেছে’, বলেন ট্রাম্প।
হিলারির উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁর (হিলারি) প্রতি তাঁর (পুতিন) কোনো শ্রদ্ধা নেই, আমাদের প্রেসিডেন্টের প্রতি তাঁর কোনো শ্রদ্ধা নেই এবং আমি আপনাকে যা বলব, সেটা হলো, আমরা খুব মারাত্মক সমস্যায় আছি।’
জবাবে ট্রাম্পের উদ্দেশে হিলারি বলেন, ‘ভালো কথা, এটা এ জন্য যে, সে (পুতিন) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে একজন পুতুলকে (ট্রাম্প) পাবে।’
ছাড় দেওয়ার পাত্র নয় ট্রাম্প। হিলারির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘না, আপনি পুতুল।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, বিতর্কে আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেবেন কি না, সে বিষয়ে ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সঞ্চালক ক্রিস ওয়ালেস। কিন্তু ট্রাম্প সে বিষয়ে কোনো অঙ্গীকার করেননি। তিনি সঞ্চালকের উদ্দেশে বলেন, ‘সময় হলে আমি বলব।’