আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করল ব্রিটিশ কাউন্সিল
কন্যা শিশুর প্রতি সহমর্মিতা ও বাংলাদেশে শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কন্যা শিশুদের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মিলে কাজ করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফুলার রোডে নিজেদের কার্যালয়ে এক আলোচনাসভার আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। সংস্থার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নারীর সংশ্লিষ্টতা, নারীদের কেন্দ্রীয়করণ, লিঙ্গ বৈষম্য সংক্রান্ত তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব তথ্য নারীদের আরো বেশি প্রকাশ্যে আসতে, গুরুত্বের সঙ্গে গণ্য হতে এবং নেতৃত্বে আসতে দক্ষ করে তুলবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর জিম স্কার্থ বলেন, ‘এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং বৃহত্তর ইউরোপ অঞ্চলে বিগত ২০ বছর ধরে কন্যা শিশুর মুক্ত পরিবেশ নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটি টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্য গোল ৪ (মানসম্পন্ন শিক্ষা) এবং গোল ৫ (জেন্ডার সমতা) কে সহায়তা করবে। সাংস্কৃতিক সম্পর্কের জটিল অংশ হিসেবে সমতা ও বৈচিত্র্যকে সাংস্কৃতিক সম্পর্কের জটিল অংশ মনে করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এ কারণে লিঙ্গ সমতা বিষয়টি আমাদের কাজের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক প্রকল্পের পরিচালক ড. আবুল হোসেন, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের প্রধান জেন অ্যাডমান্ডসেন, ইউএন উইম্যানের কোর্ডিনেটর মাহতাবুল হাকিম, ইউনিসেফের জেন্ডার বিশেষজ্ঞ রোশনি বসু এবং ইউএসএইডের সিনিয়র প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট মাহমুদা রহমান খান।
আলোচনা শেষে, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইংলিশ অ্যান্ড ডিজিটাল ফর গার্লস এডুকেশন (ইডিজিই) প্রকল্প থেকে ছবি ও আর্টওয়ার্ক নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় অংশগ্রহণকারীদের জন্য।
বিশ্বব্যাপী নারীদের বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে, নারীদের অন্য সবার মতো মানুষ হিসেবে গণ্য করার লক্ষ্যে গত ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় জাতিসংঘ ঘোষণা দেয় প্রতিবছর ১১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করার।