সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে সবার জন্য আলোকচিত্র প্রদর্শনী
দুইশ আটাশ বছরের ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে আছে লাল দালান নামের পরিচিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তরের মাধ্যমে এই কারাগার এখন পুরাতন কারাগার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রথমবারের মতো সেই কারাগারকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে সবার জন্য উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের ঐতিহাসিক পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার। ‘সংগ্রামী জীবনগাঁথা’ নামে ওই প্রদর্শনীতে দেখা যাবে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার দুর্লভ সব আলোকচিত্র। জাতীয় জেল হত্যা দিবসকে সামনে রেখে আগামী পয়লা নভেম্বর থেকে পাঁচদিনব্যাপী এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার কারাগারের ভেতরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন জানান আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজনের খবর।
কারা মহাপরিদর্শক জানান, আগামী ২ থেকে ৫ নভেম্বর সর্বসাধারণের জন্য ‘সংগ্রামী জীবনগাঁথা’ শীর্ষক প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে। মাত্র ১০০ টাকার টিকেটের বিনিময়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখার সুযোগ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইজি প্রিজন বলেন, ‘জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আগামী পয়লা নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলখানার ভেতরে পাঁচদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার দুর্লভ ১২৫টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হবে। এমন প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে নতুন অনেক বিষয় উন্মোচিত হবে।’
কারাগারের স্মৃতি রক্ষা করতে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কবে থেকে তার কার্যক্রম শুরু হবে জানতে চাইলে কারাপ্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিদর্শনের ১৫ দিন পরই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু হবে।
আইজি প্রিজন আরো জানান, উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতির নিদর্শন দুটি জাদুঘর এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও ডিজাইনে পুরোনো কারাগারকে আরও অনেক স্থাপনা নিয়ে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। পুরাতন জেলখানার ইতিহাসকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য নানা ধরনের প্রয়াস নিচ্ছে কারা অধিদপ্তর।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন আরো জানান, কারাগারে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া প্রদর্শনী সফল হলে, সর্বসাধারণকে এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখার সুযোগ করে দিতে সপ্তাহে দুদিন করে টিকেটের মাধ্যমে এই কারাগারে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কারা কর্তৃপক্ষের।