এবার ঢাকায় মিরাজের আরেক কীর্তি
অভিষেকে চট্টগ্রাম টেস্টে বেশ উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছিলেন তিনি। বলহাতে প্রথম ইনিংসেই নিয়েছেন ছয়টি মূল্যবান উইকেট। তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টেও সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন, বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন। তাই গড়ে ফেললেন নতুন একটি কীর্তি। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট।
মিরাজের আগে কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার এই কীর্তি গড়তে পারেননি। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে সরাসরি টেস্ট অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটার তাই নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে মিরাজ নিয়েছিলেন দুই উইকেট। দ্বিতীয় দিনে আরো তিন উইকেট নিয়ে ঝুলিতে পুরেছেন মোট পাঁচ উইকেট। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তা ছয় উইকেটে পরিণত হয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রামে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নিয়ে দারুণ একটি রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তা ছাড়া অভিষেকে সবচেয়ে কম বয়সে পাঁচ উইকেট নেওয়া প্রথম বাংলাদেশি বোলারও ছিলেন তিনি। অভিষেকের দিনটিতে মিরাজের বয়স ছিল ১৮ বছর ৩৬১ দিন। এর আগে ২১ বছর ১০০ দিন বয়সে অভিষেকে ছয় উইকেট পেয়েছিলেন সোহাগ গাজী।
মিরাজের চেয়ে কম বয়সে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন বিশ্বের মাত্র মাত্র তিনজন বোলার। ১৮ বছর ১৯৩ দিন বয়সে অস্ট্রেলীয় পেসার প্যাট কামিন্স, ১৮ বছর ২৩৫ দিন বয়সে পাকিস্তানি স্পিনার শহিদ আফ্রিদি এবং আরেক পাকিস্তানি শহিদ নাজির ১৮ বছর ৩১৮ দিন বয়সে এই কীর্তি গড়েছিলেন।
বয়সের হিসাব বাদ দিলে বাংলাদেশের পক্ষে মোট সাত ক্রিকেটার অভিষেকে পাঁচ বা তারচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। তাঁরা হলেন-নাইমুর রহমান দুর্জয়, মঞ্জুরুল ইসলাম, ইলিয়াস সানি, মাহমুদউল্লাহ, তাইজুল ইসলাম, সোহাগ গাজী ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
অভিষেকে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ছয় উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। ২০০০ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে তিনি এই কীর্তি গড়েছিলেন। মঞ্জুরুল ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, মাহমুদউল্লাহ ২০০৯ সালে, ইলিয়াস সানি ২০১১ সালে, সোহাগ গাজী ২০১২ সালে ও তাইজুল ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ বা তাঁর বেশি উইকেট নিয়ে এই রেকর্ড গড়েন।