‘দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না বলেই ধর্ষণ বাড়ছে’
অপরাধীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলেই সম্প্রতি ধর্ষণ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেন, মামলার তদন্তে দুর্বলতা, বিচারে ধীরগতি আর সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে ধর্ষক ছাড়া পেয়ে গেলে এ ধরনের কাজে উৎসাহিত হয় তারা।
সম্প্রতি দিনাজপুর ও রাজধানীর ভাটারায় ধর্ষণের শিকার হয় দুই শিশু। সর্বশেষ সোমবার রাতে সাভারে ধর্ষণের শিকার হয় ১০ বছরে আরেক শিশু। তাদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘এটা কোনো অসভ্য সমাজেও আমি দেখিনি। কোনো সমাজেই এটা হতে পারে না। এটা পশুও করতে পারে না, সে পশুর চেয়েও অধম।’
তিনি বলেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হয় না বলেই সমাজে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘জঘন্য প্রকৃতির মানুষ যখন দেখে যে অপরাধ করার পরও শাস্তি হচ্ছে না, তখন তাদের ভেতরে প্রবণতাটা বেড়ে যায়। যত দ্রুত সম্ভব যেভাবে রাকিব ও রাজন হত্যা মামলা দ্রুতগতিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল, বিচারও অল্প সময়ের মধ্যে হয়, উভয়ে ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়।’
এখন থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিটি ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৭২৩ জন নারী ও শিশু। ১২ মাসে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৬০ জনকে। আর গ্লানি সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে দুজন। আর এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫১২ জন নারী ও শিশু। এই সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ৩২ জন।