শাহাদাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ রাষ্ট্রপক্ষ
গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যর রায় ঘোষণার সময় এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করলেন বিচারক।
আজ রোববার ঢাকার পাঁচ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিলা ইসমাইল এ রায় দেন।
রায়ের সময় শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রী আদালতে উপস্থিতি ছিলেন।
বিচারক রায় দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের ব্যর্থতার কারণে আসামিদের খালাস দেওয়া হলো। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর বিচারক যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ঠিক করেন।
গত ২৭ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক শফিকুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম শেষ হয়।
গত ২৪ আগস্ট গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপি ও তার মামা সোহাগ আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যে তারা শাহাদাত দম্পতির নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছে।
তবে হ্যাপি মামলা দায়ের পরই ২২ ধারায় নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তীর আদালতে জবনবন্দি দেয়।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান তাঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শাহাদাত আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, স্ত্রী নিত্যকে গত বছরের ৪ অক্টোবর ভোরে দিবাগত গভীর রাত সাড়ে ৩টায় মালিবাগের পাবনা গলিতে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি জবানবন্দি দিয়েছে ভুক্তভোগী হ্যাপি।
এর আগে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় ক্রিকেটার শাহাদাত তাঁর বাসার গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে একটি জিডি করেন। এরপর একই দিন রাত ৮টার দিকে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে মিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে হ্যাপি অভিযোগ করে শাহাদাতের বাসায় তাঁর উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হতো।
পরে পুলিশ হ্যাপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। একই সঙ্গে খন্দকার মোজাম্মেল হক নামের ওই এলাকায় বসবাসকারী এক সাংবাদিক শিশু নির্যাতনের দায়ে শাহাদাতের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।