ঢাবিতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রতীকী গণভোট
বাগেরহাটে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী গণভোটের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ ফলাফল ঘোষণা করেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। গণভোটের আয়োজন করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, গণভোটে অংশগ্রহণ করে ১০ হাজার ১১১ জন। এতে পক্ষে ভোট দেয় ৮৬০ জন। বিপক্ষে দেয় নয় হাজার ১৪৮ জন। বাতিল হয়েছে ১০৩ জনের ভোট। শতকরা হিসেবে পক্ষে ৮ দশমিক ৫১ ভাগ এবং বিপক্ষে ৯০ দশমিক ৪৮ ভাগ ভোট পড়েছে।
ফলাফল ঘোষণার সময় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে সংবেদনশীল বন। লক্ষ বছর ধরে লোনাপানি ও মিঠাপানির সংমিশ্রণে এখানকার উদ্ভিদ ও প্রাণের সমন্বয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল ইকোসিস্টেম তৈরি হয়েছে, যা পৃথিবীতে অদ্বিতীয়। প্রধানমন্ত্রী একদিকে জলবায়ু সম্মেলনে পরিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, অন্যদিকে রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করে মহাপ্রাণ সুন্দরবন ধ্বংস করছেন। যদি সরকার ন্যূনতম গণতন্ত্রের তোয়াক্কা করে থাকে, তাহলে উচিত হবে এই গণভোটের ফলাফল তথা জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করা।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, সুন্দরবন রক্ষার জন্য দেশের তরুণসমাজ বিবেকবান মানুষ তথা জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে তাতে সরকার বাধ্য হবে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করতে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, ঢাবি শাখা সভাপতি ইভা মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী প্রমুখ।